লাইফস্টাইল

অনিয়মিত পিরিয়ড? জেনে নিন করণীয়

অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেক নারী। কারও সময়ের আগেই পিরিয়ড শুরু হচ্ছে, কারও বা দেরিতে। কারও আবার খুবই কম পরিমাণ হচ্ছে, কারও অনেক বেশি। অবিবাহিত নারীদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা আগেভাগে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী পরবর্তীতে সন্তান ধারণেও সমস্যা হতে পারে। তাই সতর্ক হতে হবে শুরুতেই। এরকম সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনিয়মিত পিরিয়ড কাকে বলে

প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে ২৮ দিন পরপর পিরিয়ড হলে তা একটি স্বাস্থ্যকর মাসিকচক্র হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু যদি নির্দিষ্ট সময়ের সাতদিন আগে বা সাতদিন পরে পিরিয়ড হয় এবং পিরিয়ডের মেয়াদ ৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে তবে তা অনিয়মিত বলে বিবেচিত হয়।

অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ

হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ওজন কমে গেলে পিরিয়ডে অনিয়ম হতে পারে। এমনকী অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলেও অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।

অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য থাইরয়েডের সমস্যাও দায়ী হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অথবা কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হলে শরীরের পুরো কার্যপ্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়ে। ফলে
অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। এটি একটি হরমোনাল সমস্যা। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায়। ফলে পিরিয়ডে দেরি হয়।

মানসিক চাপ নানারকম অসুখ ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে পিরিয়ডে দেরি হতে পারে।

অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার উপায়

অনিয়মিত পিরিয়ডের একটি কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। তাই নিজেকে সব সময় মানসিক চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। হাসিখুশি থাকুন। ভালোলাগার কাজগুলো করুন। যেভাবে সময় কাটালে বেশি ভালোলাগে, সেভাবে কাটান।

নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মেডিটেশন পিরিয়ড নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে। এতে শরীরের পাশাপাশি ভালো থাকবে মনও। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করুন। শরীরচর্চা করুন। নিজের প্রতি যত্নশীল হলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসা সম্ভব।

অস্বাস্থ্যকর সব ধরনের খাবার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। শাক-সবজি খান নিয়মিত। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রোটিন, ভিটামিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।

Related Articles

Back to top button