উত্তর ইচলীতে সম্পত্তিগত বিরোধে শিশু ধর্ষণের মামলা দিয়ে হয়রানি

প্রতিপক্ষ কে হয়রানি করতে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোঃ আমিন বেপারী (২২) নামের যুবক কে আটক করেছে পুলিশ। তবে সম্পত্তিগত বিষয় নিয়ে পরিবারটির সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য (ফুপাতো বোনের মেয়ে) ভাগনী কে দিয়ে হয়রানি করার জন্য মামলাটি করা হয় বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান।
সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা শুক্কুর আলম, মোঃ বাবুল বেপারী (শিশুর নানা), আবুল কালাম গাজী, মোঃ মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, পারভেজ ভূইয়াসহ স্থানীয় প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষের সাথে ঘটনার বিষয়ে কথা হয়। স্থানীয়রা জানান, আমিন বেপারী ভাল ছেলে। সে কাজ কর্ম করে সংসার চালায়। সে ঘটনার দিন নতুন ভোটার হওয়ার জন্য পরিষদে ছিল। যা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য অবগত আছেন। ৪ বছরের শিশুকে যদি ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়, তাহলে শিশুটি হাসপাতালের বেডে ভর্তি যন্ত্রনায় কাতরাতো ।
কিন্তু শিশুটি সুস্থভাবে হাটা চলাচল করছে। আমরা এই সাজানো মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিরাপরাধ আমিনের মুক্তির দাবী জানাই। ঘটনাস্থলে বসবাসকৃত নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক নারী জানান, মামলায় উল্লেখ করা ধর্ষেণের স্থানটি পাকা সড়কের পাশে এবং পাশেই বেশ কয়েকটি বসতঘর রয়েছে। যদি ঐ সময় ধর্ষণই হতো তাহলে শিশুটি ডাক চিৎকার শোনা যেত এবং উক্ত স্থানে আলামতের চিহ্ন থাকতো। তবে ঘটনাস্থলে কোন আলামত পাওয়া যায় নি।
ধর্ষিত শিশুটি আমিনের ভাগনী। মামা হয়ে ভাগনীকে ধর্ষণ তা কিভাবে সম্ভব। মামলায় স্বাক্ষী হতে বলা হয় স্থানীয় মজিব বেপারী কে। তিনি জানান, শিশুর মা আমাকে পুলিশ আসবে বলে ঘটনাস্থলে থাকতে বলেন এবং ঘটনাটি সত্য বলে পুলিশ জিজ্ঞেস করলে বলতে বলা হয়। আমি যেটা দেখি নি তা বলতে পারবো না বলে জানিয়ে দেই। আমিন বেপারীর মা হাজেরা বেগম কান্না কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে কর্ম করে সংসার চালায়।
তাদের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পত্তিগত দ্বন্ধ রয়েছে এবং শিশুটির মামা আল-আমিন এর স্ত্রী সানজিদা কে ঘরে আটকে রেখে প্রায় মারধর করা হতো। আমরা পার্শবর্তী হয়ে তার প্রতিবাদ করি। আমার পরিবারকে বিপদে ফেলার জন্য তারা বিভিন্ন সময় নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করে আসছে। যা স্থানীয় এলাকাবাসী অবগত আছেন। তবে কখনও ভাবতে পারি নাই আমার ছেলে ও পরিবার কে এভাবে হেনস্থা করা হবে।
আমি প্রশাসনের কাছে আমার নিরাপরাধ ছেলের মুক্তি কামনা করছি। বালিয়া ইউপি সদস্য কাদির বেপারী বলেন, বিষয়টি আমাকে অবগত করলে আমি উভয়পক্ষকে বসে সুষ্ঠুভাবে সমাধান করার আস্বস্থ করি। তবে শিশুটির মা আমার কথা উপেক্ষা করে মামলা করেন।
                                                                                                                                                                        ডেস্ক রিপোর্ট

Related posts

Leave a Comment