স্টাফ রিপোর্টার।। চাঁদপুরের চোখের ডাক্তার নামে মুকিত শফিউল আলমের বিরুদ্ধে বারবার নারীদের শীলতাহানি এবং অপচিকিৎসা করা যার নেশা বলে সাধারণ মানুষের মাঝে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ১৮ আগস্ট ৯ বছরের শিশুর চোখে ড্রপ দিয়ে চোখের মণি বড় করে ভয় দেখিয়ে প্রতারণার করে চিকিৎসার নামে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন চাঁদপুরের বিতর্কিত চক্ষু চিকিৎসক মুকিত সফিউল আলম। এরপর শিশুটির পরিবার তাকে অন্য চক্ষু চিকিৎসক দেখালে এই প্রতারণার কথা জানতে পারেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটির পরিবার বিতর্কিত চক্ষু চিকিৎসক মুকিত সফিউল আলমের চেম্বারে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।এক পর্যায়ে তিনি ভুয়া চিকিৎসা করে হাতিয়ে নেয়া সেই হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য : বিতর্কিত এই চক্ষু চিকিৎসক মুকিত সফিউলমের নামে অপচিকিৎসা, দালাল মাধ্যমে চেম্বার পরিচালনা করা, নারী রোগীদের সাথে অনৈতিক কাজ করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজের চেম্বারে নারী রোগীদের চোখে ড্রপ দিয়ে, তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ফরিদগঞ্জ পাইকপাড়া গ্রাম থেকে এক সুন্দরী গৃহবধু চোখ দেখাতে তার মাকে সাথে নিয়ে শহরের কদমতলা অডিটোরিয়ামের পিছনে ডাক্তার মুকিতের বাসায় আসেন।
এ সময় গৃহবধূকে ডাক্তার কক্ষে নিয়ে পাশের রুমে তার মাকে রেখে আসেন। গৃহবধূর এলার্জি জনিত কারণে চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।
মুকিত শফিউল আলম গৃহবধূর চোখে ওষুধ দিয়ে তার বুকে ও শরীরে স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্রীলতাহানি করে। সে সময় গৃহবধু চিৎকার দিয়ে চোখের ডাক্তার মকিতের রুম থেকে বের হয়ে মাকে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
তার কান্না আহাজারি বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে তাকে সাথে নিয়ে মুকিতের বাসায় গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। এ সময় ডাক্তার মুকিত ঘটনাটি সমাধান করার অনুরোধ করে গৃহবধূর কাছে হাত জোড় করে মাফ চান।
এ বিষয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হওয়া গৃহবধূ জানান, চোখের সমস্যার কারনে মাকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের বাসায় আসি। এ সময় ডাক্তার তার কক্ষে নিয়ে চোখে ওষুধ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জোরপূর্বক হাত দিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ডাক চিৎকার করলে সে ছেড়ে দিলে তাৎক্ষণিক তার বাসা থেকে বের হয়ে আসি। আমি এই লম্পট নারী নির্যাতনকারী চোখের ডাক্তার মুকিতের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় এলাকাবাসী ,ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মুকিত ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সাথে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কয়েকজন দালাল মুকিতের পক্ষ নিয়ে এসে ঘটনাটি আর কাউকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সোমবার বিকেল চারটায় এই ঘটনাটি সমাধানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশী বৈঠক করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এর পূর্বেও এই বিতর্কিত ডাক্তার মুকিত শফিউল আলমের বিরুদ্ধে অনেক সুন্দরী যুবতী ও গৃহবধূকে শীলতা হানি অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনাগুলো টাকার বিনিময়ে তিনি ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।