মইনিয়া বেকারির অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি – ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

সুমন আহমেদ, মতলব প্রতিনিধিঃ

সকালে ঘুম থেকে উঠেই বেকারীর পাউরুটি, মজাদার বিভিন্ন বিস্কুট অথবা সুস্বাদু কেক দিয়ে হরহামেশাই নাস্তা করছে কোমলমতি শিশুসহ সাধারণ মানুষ। বিভিন্নরকমের লোভনীয় খাবার প্রতিনিয়ত কিনে খাচ্ছেন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

বেকারীর তৈরী এসব খাবার কোন পরিবেশে তৈরী হচ্ছে সেদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বেকারি খাদ্যের নামে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত গিলে খাচ্ছে রোগ জীবাণু।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর বাজারের মইনিয়া বেকারী এন্ড কনফেকশনারি এমন ঝুঁকিপূর্ণ খাবার তৈরি করে খাওয়াচ্ছেন ভোক্তাদের।এ যেন যেমন ইচ্ছে তেমন সাজো খেলার মত। সাধারণ ভোক্তাদের সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে পৌঁছে দিচ্ছেন অস্বাস্থ্যকর ঝুঁকিপূর্ণ খাবার। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভোক্তা অধিকার আইনের তোয়াক্কা না করে তৈরী হচ্ছে পাউরুটি, কেক, বিভিন্ন রকমের বিস্কুট ও বাচ্চাদের জন্য লোভনীয় খাবার। তেলের পরির্বতে ব্যবহার করা হচ্ছে খুবই নিম্নমানের একই পামওয়েল এবং পামওয়েলের সাথে ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাখন । চিনির সাথে ক্যামিকেল মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে রসালো পিঠা ও শুকনো খাবার।

এলাকাবাসীর অভিযোগ এই বেকারির খাবার খেয়ে অনেক মানুষ আমাশয় সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন খাদ্যের সাথে অসংখ্য কিট পতঙ্গও পরে থাকতে দেখা যায়। এ বেকারীতে শিশু আইন না মেনে শিশুদেরকে দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি খাবার। কোন খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ও বিএসটিআই অনুমোদিত স্টিকার এবং খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বেকারি মালিক মো.ইসমাইল হোসেন।

বেকারির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইসমাইল পূত্র শাকিল জানান, এভাবেই আমরা পরিচালনা করি , কোন নিয়মনীতি প্রয়োজন পরে না। বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল।

Related posts

Leave a Comment