রংপুর নগরীতে ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
বাহির থেকে স্বাস্থ্যসেবার আশ্রয়স্থল মনে হলেও ভেতরে যে এমন নিষিদ্ধ কাজের আহবান তা অনেকেই জানেন না। নগরীর অভিজাত এলাকাগুলোতে চিহ্নিত নারীর দালাল ও অন্ধকার জগতের বাসিন্দারা মিলে এসব অপকর্ম শুরু করলেও তারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাহিরে। তবে যেকোন জনসমাগম অফিস/প্রতিষ্ঠানের ভবনই এসব অপরাধীদের মুল টার্গেট বলে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় চরম হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন মোঃ ওমর আলী (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ী। সদ্য অবসরে যাওয়া একজন সরকারি কর্মকর্তা, অবৈধ ক্ষমতার অধিকারী গোলাম রসুল বাদলগং রংপুরের কতিপয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছেন এই অপকর্ম।
অভিযোগ আছে তিনি ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে, মরণ নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, হিরোইনসহ নানাবিধ মাদকদ্রব্য রমরমা বানিজ্য করে আসছেন তিনি। পাশাপাশি সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও, অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল হিসেবে মায়েদের গর্ভপাতের মতো জঘন্য ঘটনাও হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। ২২ অক্টোবর রংপুর মহানগরীর ধাপ জেল রোডস্থ অগ্রণী জেনারেল হাসপাতালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও অগ্রণী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি সংবাদ সম্মেলন এক লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান, ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতি ও অসাজিক কার্যকলাপে বিরুদ্ধে “সংবাদ সম্মেলন” একজন ব্যাংকার আমি অগ্রণী ব্যাংকের ৩৬ বৎসর ০৬ দিন চাকুরী করে অর্ত ০১ জানুয়ারী ২০২২ ইং হতে পেনশনে আছি। আমার ০১ স্ত্রী ০২ যেয়ে। আমি একজন বনমেরু ট্রাস্ট প্লান্টেশনের রোগী আমি ২০১৪ মার্চে সরকারি ভাবে বনমেরু ট্রাস্ট প্লান্টেশন করা হয়। আমি কেন এই পেশায় আসলাম? আমি জেলরোড রংপুরে ২০০০ সালে রাস্তাসহ ০৪ শতক জমি ব্যাংক ঋণ এ ক্রয় করে ৪র্থতলা বিশিষ্ঠ বাড়ি নির্মাণ করি। পরবর্তীতে ঐবাড়িটি ক্লিনিক হিসাবে ভাড়া প্রদান করি। সর্বশেষ ভাড়া গ্রহণ করেন আরকে হসপিটাল ০৫ বৎসরের জন্য কিন্তু ০১ বৎসর গত হওয়ার পর আমার পার্শ্ববর্তি ব্লিডিং বিলডিং আমার ভাড়া গ্রহণকারীকে বাগিয়ে নিয়ে তার অনুমদনহীন ৬ষ্ঠতলা বাড়িটি অগ্রীম জামানত আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে রেসিডেন্টকাম/ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার শুরু করে এবং আমার ক্রয়কৃত রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরে, ফলে আমি সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করি।
উল্লেখিত ব্যাক্তি গোলাম রসুলকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে কর্তৃপক্ষ বহুবার নোটিশ প্রদান করা সত্ত্বেও বাড়ির দলিল নকশা জবাব কোন কিছুই জমা দেন নাই। তাহাছাড়া আমার চলাচলের রাস্তায় গ্রীলের কারখানা বসিয়ে প্রশাসনের তোয়াক্কা না ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আমার চলাচলের রাস্তার উপর বিভিন্ন প্রকার যানবাহন পাকিং করে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি প্রতিবাদ করিলে গত (১৮ অক্টোবর) তাহাদের কতিপয় সন্ত্রাসী রায়হান, হরিগং লোকজন নিয়ে আমার অফিস কক্ষে ঢুকে আমাকে লাঞ্চিত করে, আমার চেয়ার টেবিল আলমিরা ফাইল কেবিনেট ভাংচুর করে এবং মূল্যবান কাগজপত্র দলিল দস্তাবেজ ছিনিয়ে নেয় এবং আমার ড্রয়ার ভেঙ্গে, রায়হান ১ হাজার টাকার নোটের ০৩টি বান্ডিল ০৩(তিন) লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আমার চিৎকার শুনে আমার কর্মচারী লিমন মিয়া, ও বুলবুল, এবং কনক চন্দ্র দেবনাথ এগিয়ে এসে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। তখন সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন হুমকি ধামকি এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। অতএব আমি এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করিতেছি। সংবাদ সম্মেলন শেষে ফেরার পথে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ক্লিনিক কর্মচারী জানান, আজকাল ভদ্র ঘরের মেয়েরাও যৌন ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।
স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থীরা নেমেছে এ পেশায়।কারন সবাই চায় অল্প সময়ে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে। অপর একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এসব দেহ ব্যবসার পাশাপাশি রমরমা মাদকের বাণিজ্য চলছে। মরন নেশা ইয়াবা, হিরোইন থেকে শুরু করে সব ধরনের মাদক হাত বাড়ালেই পেয়ে যায় নিষিদ্ধ জগতে পা বাড়ানো তরুন-তরুনীরা।