দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারনে কৃষকের ১১ বিঘা আবাদি জমির ধান ক্ষেতের মধ্যেই নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের ছিট পাইকের ছড়া গ্রামের ফসলের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য সালিশ বৈঠক করা হয়। সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে গ্রামের মহোদদের নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, উক্ত জমি নিয়ে বিরোধ চলায় ২ পক্ষের খরচে মাঠে ধান লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং এটিও সিদ্ধান্ত হয় যে উক্ত জমির প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে জমিতে চাষ করা ধান প্রকৃত প্রাপ্ত জমির মালিককে দেওয়া হবে।
সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে ৫ জন গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বায়িত্বে ঐ জমিতে ধান চাষ করা হয়। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, সোলাইমানসহ অন্যান্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় ঐ জমিতে ধান চাষ করে ধান কেটে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে রেখে ২ পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে যে পক্ষ জমি পাবে সে পক্ষকে চাষ করা ধান দেওয়া হবে। জমিতে ধান নষ্ট হওয়ার বিষয়ে মোস্তাফিজুর, সোলাইমানসহ অন্যান্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, মাঠে ধান নিতে গেলে শাহআলম জানায় ক্ষেতের ভিতরে ধান ভাগ করে দিতে হবে তা না হলে ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই রাখতে হবে। তাই পরবর্তীতে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি নি সেই থেকে ধান মাঠেই রয়েছে।
ভুক্তভোগী আবু সাঈদ জানান, আমার দাদি আছিয়া খাতুন আমাকে ও আমার ভাই সোহাগ কে উক্ত জমি সাব রেজিস্ট্রারি দেয় কিন্তু শাহআলম পক্ষ সেটি জানার পর কৌশলে আমাদের দলিল হতে গ্রহিতার পাতা পরিবর্তন করে নিজেদের নামে দলিল করে নেয়। পরে বিষয় টি আমরা জানতে পেরে সাব রেজিস্ট্রার ও ডি আর অফিস কুড়িগ্রাম বরাবরে একটি অভিযোগ করি পরে তারা দলিল সংশোধন করে আমাদের বুঝিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে পাইকের ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জব্বার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক করা হয়। তবে আমি প্রাথমিক ভাবে যেটি জানি আবু সাঈদদের কাগজ পত্র ডি আর অফিসের তথ্যের সাথে মিল রয়েছে কিন্তু শাহআলম পক্ষের কাগজ পত্র ডি আর অফিসের তথ্য অনুযায়ী মিল নেই।