‘আমি ছাড়া ওর কেউ নাই’
নাতনিকে দেখতে আদালতে হাজির হতেই পরীমণির নানাকে ঘিরে ছিল সাংবাদিকদের ভিড়। আবেগে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। ক্ষীণ স্বরে বলে ওঠেন, ‘আমি ছাড়া ওর কেউ নাই।’পরীরমণির চিন্তায় ব্যথিত নানা আদালত চত্বরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত নাতনির সঙ্গে কোনও কথাই বলতে পারেননি।
পুরো ঘটনায় হতাশ শামসুল হক গাজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সে নিজের সারাটা জীবন মানুষকে দান করেছে। কিন্তু এখন সে পরিস্থিতির শিকার। নিজের একটা ফ্ল্যাট করে নাই, কিছু করে নাই। এফডিসিতে প্রত্যেক বছর ইদে পশু কোরবানি করে গরিব-দুঃখীদের জন্য। নিজের জন্য সে নিজে কিছুই করে নাই।’
কী হবে পরীমণির? এমন প্রশ্নে জবাবে, শামসুল হক আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘ন্যায্য বিচার হোক।’
গত মে মাসে হাসপাতালে চিকিৎসারত নানার একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন পরীমণি। ৮ মে নানার লজেন্স খাওয়ার ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছিলেন, ‘দেখেন কেমন বাচ্চাদের মতন। ১০০ ঊর্ধ্ব বয়স তার। দু’দিন আগে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়েছে। চারদিন তার মুখে খাওয়া বন্ধ রেখেছিলেন ডাক্তার। আজ তার জন্য ডাক্তার নিজেই এই উপহার নিয়ে আসেন। নানু তো মহা খুশি।’
পরীমণি গ্রেফতারের ঘটনায় অন্য সবার চেয়ে নানা শামসুল হক গাজী যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পরীও হয়তো রিমান্ডের দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি মনে করছেন প্রিয় নানাকে। কিন্তু আইনের দেয়ালের কারণে কেউ কারো কাছে যেতে পারছেন না!
সূত্র: ঢাকা পোস্ট