কার্বন শোষণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করলে এত টাকা!
যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক টুইটারে সেরা কার্বন শোষণক্ষম প্রযুক্তির উদ্ভাবনের জন্য একশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা) পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার মতো একটি জটিল সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার অন্যতম একটি হলো কীভাবে কার্বন শোষণের প্রযুুক্তি উদ্ভাবন করা যায়। কিন্তু এ নিয়ে এখনো তেমন কোনো কাজ হয়নি বললেই চলে।
তাই বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো একটি জটিল সমস্যার সমাধানের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। কার্বন শোষণ করতে পারে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য তাইতো তিনি বিপুল অর্থমূল্যের পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন।
প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) গত বছর জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা কার্বন নিঃসরণের শূন্যে নামাতে চাইলে কার্বন শোষণের প্রযুক্তির উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই।
ইলন মাস্ক তার টুইট বার্তায় শুধু এক বাক্যে লিখেছেন যে, ‘কার্বন শোষণের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য আমি একশো মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে চাই।’ তবে পরে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে টেসলার কর্মকর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনো তথ্য দিতে চাননি।
ইলন মাস্ক পেমেন্ট কোম্পানি পে-পাল হোল্ডিংস ইনকর্পোরেশনের সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং এই কোম্পানি বিক্রি করে দেয়ার পর বিশ্বের সুদূরপ্রসারী কোম্পানি হিসেবে তৈরি হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, ইলন মাস্ক টেসলার পাশাপাশি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স ও নউরালিঙ্ক-এর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। এই কোম্পানিতে তিনি যান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক আহমেদ এফ ঘোনিয়েম বলেন, কার্বন শোষণক্ষম প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়টি জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী ইলন মাস্ক সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন শোষণক্ষম প্রযুক্তির জন্য ১৮০ কোটি ডলারের এক অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
২০১৭ সালে তিনি বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক রকেট তৈরির কোনো উপায় আমাদের জানা নেই। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য কার্বন শোষণক্ষম প্রযুক্তি সোলার পাওয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন শোষণক্ষম প্রযুক্তি তৈরি বিষয়ে অঙ্গীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি মন্ত্রণালয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য কার্বন শোষণক্ষম প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ জেনিফার উইলকক্সকে প্রিন্সিপ্যাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা করেছেন।