ঘুরে আসুন আলবেনিয়া: সেরা ৭ জায়গা
ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ আলবেনিয়া ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা শাসিত হয়েছে। আলবেনিয়ায় রয়েছে মনোমুগ্ধকর সমুদ্রসৈকত, পাহাড় আর হ্রদ। এখানে রয়েছে রোমান যুগের স্থাপত্যে নির্মিত স্থাপনা, অটোমান সুলতানদের শাসনামলে নির্মিত মসজিদ ও ভবন এবং পুরনো ও সুরক্ষিত দুর্গ। যা মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়। ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ অঞ্চল আলবেনিয়ার সেরা ৭ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এখন উপস্থাপন করছি।
১. ধার্মি
আলবেনিয়ার ধার্মি অঞ্চলে রয়েছে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত। গ্রীষ্মকালে এসব সমুদ্রসৈকতে বেশি পর্যটক দেখা যায়। এখানে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে। মানুষের কাছে এই অঞ্চল অনেক পছন্দের।
২. দুরেস
আলবেনিয়ার রাজধানী দুরেস উপকূলবর্তী অঞ্চল তাইরানা থেকে খুব একটা দূরবর্তী নয়। দুরেস শহর অনেক জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে মানুষের ভীড় দেখা যায় এখানে। দুরেস শহরের অন্যতম বন্দর আদ্রিয়াটিক বন্দর। এটি আলবেনিয়ার ব্যস্ততম অঞ্চল।
৩. সারান্ডে
ইওনিয়ান সমুদ্রের কাছে অবস্থিত মনোরম দৃশ্যপট সারান্ডে। এখানে বার, রেস্তোরাঁ এবং স্যুভেনির দোকান রয়েছে। বিশ্বের মানুষ এই অঞ্চলের নাম সহজেই চিনে থাকেন।
৪. শাকড্রা
মন্টিনিগ্রো-আলবেনিয়া সীমান্তে অবস্থিত শাকড্রা শহরে রয়েছে মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান। শহরটি বুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং চারপাশে আলবানিয়ান আল্পস পর্বতমালা রয়েছে। এখানে রোজাফা দুর্গ নামে একটি বিখ্যাত দুর্গ রয়েছে। ইলিরিয়ান, ভেনেশিয়ান ও তুরস্কের অটোমান সুলতানদের দ্বারা এই শহর শাসিত হয়েছে।
৫. বেরাত
বলকান দেশের অন্তর্গত শহর বেরাত শহর হাজারো জানালার শহর হিসেবে পরিচিত। এই শহর ওসুমি নদীর তীরে অবস্থিত। বেরাত শহরে অটোমান যুগের মসজিদ এবং বাইজান্টাইন যুগের গীর্জা রয়েছে। পর্যটকের দৃষ্টিতে শহরটি অনেক মনোমুগ্ধকর।
৬. হিমার
হিমার শহর একটি পাহাড়ি উপত্যকা। এখানে রয়েছে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত। দর্শনার্থীরা এই শহরকে খুব পছন্দ করে। বারবার ভ্রমণ করার মতো একটি শহর এটি। সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি রয়েছে অনেকগুলো সুরক্ষিত দুর্গ।
৭. গিজরোকাস্টার
আলবেনিয়ার দক্ষিণে গিজরোকাস্টার শহর অবস্থিত। এটি মনোমুগ্ধকর একটি শহর। এখানে অসংখ্য অভিজাত ভবন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে সাংস্কৃতিক মনুমেন্ট। গিজরোকাস্টার শহর আলবেনিয়ার দ্বিতীয় বড় শহর হিসেবে পরিচিত। এই শহরকে পাথরের শহর।