ঘুরে আসুন লিথুয়ানিয়া: সেরা ৮ জায়গা
বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়া। বাল্টিক সমুদ্রের তীরে অবস্থিত বলে এই দেশকে বাল্টিক দেশ বলা হয়। পূর্ব ইউরোপের কম জনবহুল দেশ লিথুয়ানিয়া। লিথুয়ানিয়ার সেরা ৮ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে উপস্থাপন করছি।
১. ভিলনাস
লিথুয়ানিয়ার ইতিহাসসমৃদ্ধ শহর ভিলনাস। এখানে ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে অনেক। ভিলনাস শহরের বিখ্যাত সেন্ট অ্যানি গীর্জা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক পছন্দের। শহরটিতে রয়েছে সুরক্ষিত দুর্গ ও অভিজাত ভবন।
২. কওনাস
লিথুয়ানিয়ার দ্বিতীয় বড় শহর কওনাস। শহরটি নেরিস নদীর তীরে অবস্থিত। লিথুয়ানিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কওনাস শহরে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। ইতিহাসপ্রেমী পর্যটকরা এসব স্থাপনায় ভ্রমণ করেন।
৩. কার্নাভ
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত কার্নাভ শহর। এই শহরে ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতকে প্রথম বসতি গড়ে ওঠে। পর্যটকদের কাছে এই শহর অত্যন্ত পছন্দের।
৪. ক্লাইপেডা
বাল্টিক সমুদ্রের কাছে ক্লাইপেডা শহর অবস্থিত। উনবিংশ শতাব্দিতে এই শহর জার্মান সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো। শহরটির রয়েছে ৮০০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস। যারা ইতিহাস বিষয়ে গভীরভাবে পড়াশুনা করেন তাদের জন্য ক্লাইপেডা শহরে প্রচুর ভাবনার খোরাক রয়েছে।
৫. নেরিংগা
নেরিংগা শহরে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত রয়েছে। সমুদ্রবিলাসী সব বয়সের পর্যটক এখানে ভ্রমণ করেন। নেরিংগা শহরে সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে অসংখ্য রিসোর্ট রয়েছে। এসব রিসোর্টের বেশিরভাগই বিলাসবহুল।
৬. পালাংগা
বাল্টিক সমুদ্রের পাশে আরেকটি শহর পালাংগা। শহরটিতে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত রয়েছে। বিকেলে মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্তের দৃশ্য ভোগ করা যায় এখানে। পর্যটকরা এই শহরের নাম সহজেই চিনে থাকে।
৭. তারাকাই
পাহাড়, জলপ্রপাত ও তৃণভূমি আচ্ছাদিত তারাকাই শহর লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলিনাসের পশ্চিমে অবস্থিত। এই শহরে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক পার্ক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। পর্যটকরা এই শহরে ভ্রমণে এসে অভিভূত হন।
৮. অ্যানিকসাই
লাটভিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত অ্যানিকসাই শহর অবস্থিত। এই শহরকে বলা হয়ে থাকে সবুজের শহর। এখানে অসংখ্য ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে। বিখ্যাত সেন্ট ম্যাথিউ গীর্জা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী পর্যটকরা অনেক পছন্দ করেন। এই শহরের ৫০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই শহরে রয়েছে সবচেয়ে উঁচু গীর্জা।