ঘুরে আসুন সিঙ্গাপুর : সেরা ১০ জায়গা
পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে চাইলে সিঙ্গাপুর হতে পারে সকল জায়গার মধ্যে সেরা। কম খরচে ভালো সময় কাটানোর জন্য ঘুরে আসুন সিঙ্গাপুর।
আসুন জেনে নেই সিঙ্গাপুরের সেরা ১০টি জায়গা সম্পর্কে।
১. মেরিনা জলপ্রপাত
সাড়ে তিন কিলোমিটার সুউচ্চ মেরিনা জলপ্রপাত দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে অসংখ্য পর্যটক। সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন জাতীয় উৎসব এখানে আয়োজন করা হয়।
মেরিনা জলপ্রপাতে রয়েছে বিনোদনের সব রকম ব্যবস্থা। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলাধূলার নানা উপকরণ। এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ কেউ হারাতে চান না।
মনোমুগ্ধকর মেরিনা সেতু ও মেরিনা দক্ষিণাঞ্চলকে একীভূত করে আছে হেলিক্স ব্রিজ। লোটাস ফুল দিয়ে সাজানো এখানকার আর্টসায়েন্স মিউজিয়াম দেখার মতো স্থান।
২. অর্কার্ড রোড
অর্কার্ড রোডের দুই দশমিক দুই কিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ শপিং অ্যান্ড এনটারটেইনমেন্ট অ্যাভিনিউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের হৃদয়। সেখানে অবস্থিত হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও শপিংমলগুলো দেখলে মনে হবে যেন খেলনার মতো সাজানো রয়েছে।
অর্কার্ড রোডে হাঁটলে সিঙ্গাপুরের চাকচিক্য ও সৌন্দর্যের দেখা মেলে। বিখ্যাত ইয়ন অর্কার্ড শপিং কমপ্লেক্সটি অর্কার্ড রোডেই অবস্থিত।
৩. ছোট নৌকা
সিঙ্গাপুরকে উপসমুদ্রের ভেতর একটি দ্বীপরাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একেকটি দ্বীপ দেখার জন্য ছোট নৌকা ব্যবহার করা হয়। বলা যায়, সকল দ্বীপ একসঙ্গে দেখার জন্য একটি ছোট নৌকাই যথেষ্ট।
নৌকায় রয়েছে বিশ্রামের স্থান, রয়েছে সুর্যাস্ত উপভোগ করার সুযোগ। নৌকায় করে সমুদ্র দেখতে দেখতে আপনার চোখ পড়বে স্যার র্যামফেল্ডের ভাস্কর্যের দিকে।
৪. বাগান
সমুদ্রে ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রাণকেন্দ্রে। দেখছেন ১০১ হেক্টরের একটি বাগান। পর্যটকদের কাছে এটি খুব পছন্দের জায়গা। বাগানটিতে রয়েছে নান্দনিক পাতাবাহার গাছের সমাহার।
৫. মরুভূমির স্কাইপার্ক
মরুভূমির পাশে অবস্থিত স্কাইপার্ক সিঙ্গাপুরের জনপ্রিয় স্থানসমূহের একটি। মেরিনা বে স্যান্ডস স্কাইপার্ক না দেখলে যেন পুরো সিঙ্গাপুর ভ্রমণই বৃথা। স্কাইপার্কে আসলে আপনার জন্য প্যানোরোমিক ভিউ দিয়ে রয়েছে ছবি তোলার সুযোগ। রয়েছে সুর্যাস্ত দেখার সুযোগও।
৬. সিঙ্গাপুরের চায়নাটাউন
নতুন, পুরাতন মিশেলে চায়নাটাউন সিঙ্গাপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে আপনি সিঙ্গাপুরে বসে চিনাসংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবেন।
তবে চায়নাটাউনে লালিত ‘চিনাসংস্কৃতি’ সিঙ্গাপুরের অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখানে উল্লেখ করার মতো স্থানগুলো হলো, চায়নাটাউন হেরিটেজ সেন্টার, বুদ্ধদন্তের ধ্বংসাবশেষ মন্দির এবং চায়নাটাউন স্ট্রিট মার্কেট।
৭. ক্লার্কে কুওয়ে
সিঙ্গাপুরের অন্যতম নাইটস্পটের নাম ক্লার্কে কুওয়ে। এখানে সূর্যাস্তের পর থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়।
সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্লার্কের নামানুসারে এই স্থানটির নামকরণ করা হয়। এই নাইটস্পটে পর্যটকদের চমৎকার সময় কাটে।
৮. জাতীয় অর্কিড উদ্যান
সিঙ্গাপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবস্থিত এই উদ্যান তিন হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তীর্ণ। এখানে এক হাজার অর্কিড ও দুই হাজার হাইব্রিড অর্কিডের দেখা মেলে। এখানে ৬০ হাজার গাছ রয়েছে।
৯. সেন্তোসা দ্বীপ
শহর থেকে ১৫ মিনিটে সেন্তোসা দ্বীপে যাওয়া সম্ভব। সব বয়সের পর্যটক এই দ্বীপে যান। যেখানে গেলে সকল প্রকার ক্লান্তি ছুটি নেবে।
১০. জুরং বার্ডপার্ক
জুরং বার্ডপার্ক একটি বন্যপাখির পার্ক যা ২০ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তীর্ণ। এখানে পাঁচ হাজার পাখি দেখা যাবে। বার্ডপার্কে চারশো প্রজাতির পাখি দেখার এমন অভিজ্ঞতা পৃথিবীতে বিরল। কাজেই এই পার্কে আসলে মন আনন্দে ভরে উঠবে।