১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী গনতন্ত্র হত্যা দিবসে গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চাঁদপুর জেলা বিএনপি।
বুধবার বিকেলে শহরের চিত্রলেখা মোড় হাজী মহসিন রোডস্থ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুনির চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিমুস সালাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ উদ্দিন পলাশ, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, জেলা কৃষকদলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ গাজী, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক সারোয়ার গাজী, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শাহজাহান খোকা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইখতিয়ার হোসেন শিশু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মজিব বাকশাল কায়েম করে গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গনতন্ত্রকে পূনউদ্ধার করেছেন। আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ভোট চোর সরকার। পিতার সাথে মেয়ের মিল রয়েছে। সেও গনতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। এ সরকারও একদিন ধপাস করে পড়ে যাবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
১০ দফা বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। বাংলার মানুষকে শেখ হাসিনার কড়াল ঘ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা মাত্র। তারা আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনে ঢেউয়ে শেখ হাসিনা আজ জাতা পড়ে গেছে। বাংলার জনগন শেখ হাসিনার সাথে নাই। বাংলার জনগন বিএনপির পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ। গনতন্ত্রকে পূণউদ্ধারের জন্য সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসবে, আমরা সেই প্রত্যাশা করি। আগামী দিনে তারণ্যের অহংকার তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিবেন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে নির্দেশনাগুলো পালন করবো।
মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া।।