চাঁদপুর জেলার দক্ষিণে মেঘনা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত হাইমচর উপজেলা,এই উপজেলাটির তিনটি ইউনিয়ন নদীর গর্বে বিলীন হয়ে মেঘনা নদীর পশ্চিমে রয়েছে চরাঞ্চল।
চরাঞ্চলে রয়েছে হাজার হাজার বসতিরা।তীব্র শীতের কারণে কর্মজীবন ও জনজীবনে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। ৭’ই জাোনুয়ারী চরাঞ্চল ঘুড়ে দেখা যায় জেলে, কৃষক,খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে এ তীব্র শীতের সময়টাকে অতিবাহিত করতে।ঘন কুয়াশা সাথে রয়েছে হিমেল বাতাস,সূর্যের দেখা নেই গত তিনদিন যাবত।
গ্রামের বাজারে এবং বাড়িতে শীতকে বিতাড়িত করতে আগুন জেলে আগুন পোহাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানুষরা।কর্মজীবন যেমন স্থগিত হয়ে রয়েছে,তেমনি পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে।বাচ্চা এবং বৃদ্ধদের এই তীব্র শীতের সময়টা বেশি কষ্ট হচ্ছে। গ্রাম্য চিকিৎসক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বাচ্চাদের ঠান্ডা ও নিমোনিয়া,বৃদ্ধদের অ্যাজমাটিক সমস্যা ঠান্ডা নিমোনিয়ার সমস্যা তীব্র আকারে ধারণ করছে।পাশাপাশি জ্বরের প্রকোপ বেড়ে চলছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আর,এম,ও ডাঃ মামুন রায়হান বলেন।পূর্বে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছি সেই সকল ব্যক্তিদের খুবই সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। শীতের তীব্রতার কারণেই দেশে পূনরায় করোনা হানা দিচ্ছে,করোনার প্রকোপ থেকে নিজে বাঁচুন নিজের পরিবারকে বাঁচান।সেই লক্ষ্যে সকলকে করোনা প্রতিরোধক পূর্বের নিয়মকে মেনে চলা জরুরী হয়ে পড়েছে।অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করবেন,ঘরের বাহিরে কম আসবেন।হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান ব্যবহার করবেন,ঠান্ডা কে দূর করে রাখবেন। তীব্র শীতের কারণে হাইমচর উপজেলার উত্তরা আলগী ও দক্ষিণ আলগীর একাধিক বৃদ্ধ এবং যুবক বলেন,জীবনে প্রথম এইরকম শীত পড়তে দেখতেছি,বৃদ্ধরা বলেন-বাবা শীতের যে অবস্থা আমরা বুড়া মানুষরা হয়তো আর বাঁচমু না।
৮০ থেকে ৯০ বছর বয়স হইছে এইরকম শীত আর আগে কখনো পরতে দেহী নাই,যেমন ঠান্ডা হেইরকম আবার ঠান্ডা বাতাস,তার উপরে আবার সূর্যের দেখা নাই। তীব্র শীত সাথে হিমেল বাতাস,সূর্যের আলোর দেখা নেই গত ৩-৪ দিন যাবত।হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চল ও উপজেলা সদরের একাধিক অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়।জেলে,কৃষক, শ্রমজীবী,দিনমজুর মানুষরা রাস্তার পাশে,বাড়ির আঙ্গিনায় আগুন জ্বালিয়ে শীতকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে আগুন পোহাচ্ছে।
এই তীব্র শীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সংখ্যক শীত বস্ত্র দিলেও সামাজিক সংগঠন বা সমাজসেবী মানুষরা এখনো শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াইনি। যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা ঘটছে ঘন কুয়াশার কারণে,ঢাকা থেকে চাঁদপুর হাইমচর ও বরিশাল গামী লঞ্চ গুলোর চলাচলে বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে।জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামছে না,ঘন কুয়াশায় অস্পষ্ট দেখাচ্ছে সব।