পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড কোল্ড ষ্টোরেজ মােড় (ইচলী) খানকায়ে চিশতীয়া রাহমানিয়া দরবার শরীফের আয়োজনে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুশ বের করা হয়েছে।
গত রোববার ৯ অক্টোবর সকালে সারাদেশের নেয় চাঁদপুর হযরত শাহ্ সূফী মোশাররফ হােসেন মুশুবাবা পাক দরবার শরীফ থেকে শত শত ভক্ত, মুরিদ ও মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে জশনে জুলুশটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে পুনঃ রায় হযরত মোশারফ হোসেন চিশতী (রা.) মশু বাবার দরবার শরীফে গিয়ে শেষ হয়। সেই জশনে জুলুছে উপস্থিত ছিলেন।
শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীদের হাতে ছিল বিভিন্ন রঙয়ের পতাকা ব্যানার, নতুন পোষাক ও জাতীয় পতাকায় শোভিত ও মাথায় হলুদ, সবুজ কাপড়ের পাগরীতে সজ্জিত ছিলেন জশনে জুলুছে অংশগ্রহণকারীরা। আর তাদের কণ্ঠে ছিল নবীজীর নাম ও ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সবার প্রতি শুভেচ্ছার শ্লোগান।
এ সময় আনন্দ শােভাযাএা পরিচালনা করেন পীর সাহেব জামাতা ইউসুফ পাটওয়ারী রিপন সার্বিক সহযোগিতা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল অন্যান্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আব্দুল হান্নান চিশতী, , জামাতা অ্যাডঃ হাসান উল্লাহ পাটওয়ারী, পীর সাহেব বড় নাতি ফাইম চিশতী, চাঁদপুর তরিকত ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান চিশতী, মাওঃ মােঃ আলী আল-কাদেরী, মাওঃ মোঃ আলী আশ্রাফ আল কাদেরী, ছাত্তার চিশতী, কাশিম চিশতী , সামু চিশতী, , মাও. জামাল পাটওয়ারী,রফিকুল ইসলাম চিশতী, জাকির হোসেন পাটওয়ারী হােসেন চিশতি, স্বপন পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন ভোলা, মনির হোসেন মান্না চিশতী, লোকমান চিশতী, হাবু চিশতী, ডা. গিয়াস উদ্দিন স্বপন,ইব্রাহিম চিশতী, রতন গাজী, মালেক চিশতী, আল আমিন, আমিন, ইয়াসিন চিশতীসহ অসংখ্য দেশ-বিদেশের শত শত ভক্ত বৃন্দ আশেখান জশনে জুলুছে উপস্থিত ছিলেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খানকায়ে চিশতিয়া রহমানিয়া দরবার শরীফে দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে ৯ অক্টোবর সকাল ৭টায় পীর সাহেব গোসল, ৮টায় নতুন পোশাক পরিধান , কোরআন খতম,মিলাদ, জিকির ও মোনাজাত , ৯টায় নাস্তা ও তবারুক বিতরন। এর পরে ৯টা১৫ মিনিটে জশনে জুলুছে আনন্দ শােভা যাএা শেষে দরবার এসে পশুজবাই মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ।
বাদ মাগরিব পর ভক্তরা বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা, শাম সগীত, গজল ও রাতে খাবার পরিবেশন করেন। রাত ১০,৩০ মিনিট বিশ্ব নবীর জীবনী আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন, মাওঃ মিজানুর রহমান চিশতী, মাওঃ জামাল পাটোয়ারী ও লোকমান চিশতী। রাত ২ টা য় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্রায় ৩০ জন্য শিল্পীর দলের বিভিন্ন ধরনের শাম সংগীত, বিচ্ছেদ গানসহ বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন। সবশেষে ৪টা মোনাজাত ও তবারুক বিতরন মাধ্যমে শেষ হয়ে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১ হাজার ৪শ’ বছর আগে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমেনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স)। একই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছিলেন। তিনি পৃথিবীতে এসে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করেছেন।
তার আভির্ভাব ও ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার জন্ম ও উফাত দিবস ১২ই রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে এক পবিত্র দিন। মুসলিম সম্প্রদায় এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকেন।