প্রজনন রক্ষা করলে চাঁদপুরে ইলিশের আকাল থাকবে না- ডিসি কামরুল হাসান

ডেস্ক রিপোর্টঃ

‘জাটকা এবং মা-ইলিশের পাশে আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে’ এ স্লোগান নিয়ে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার আন্দোলন হিসেবে ১৪তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ৫ দিনব্যাপী উৎসবের সূচনাদিনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সেরা গানবাজদের প্রতিযোগিতা, গোলটেবিল বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুনীজন সম্মাননার আয়োজন করা হয়।

সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় গুনীজন সম্মাননা ও উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, ভারতচন্দ্র রায়গুনাকরের অন্নদার ভবানন্দ ভবনে যাত্রা কবিতায় ঈশ্বর পাটনি অন্নপূর্ণার কাছে বর চেয়েছিলেন “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” কিন্তু বাঙ্গালী এখন দুধে ভাতে নেই, বাঙালি এখন আছে মাছে ভাতে। আর মাছ বললেই ইলিশের নাম প্রথমেই আসে। ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। ইলিশ চাঁদপুরের একটি ব্র্যান্ডিং পণ্য। চতুরঙ্গের এই আয়োজন শুধু একটি উৎসব নয়, এটি একটি আন্দোলন। এর প্রচার শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও প্রচার হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জেলেরা মাছ পাচ্ছেন না এই অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের সচেতনতার অভাবের দরুনই এই অবস্থা হচ্ছে। মাছের মূল প্রজননের ক্ষেত্র নষ্ট করে ফেলায় ইলিশের প্রজননে বিঘ্ন হচ্ছে। প্রজনন মোসুমে ইলিশ যে পরিমাণ ডিম ছাড়ে তার অর্ধেক পূর্ণাংগ ইলিশে রুপান্তরিত হলে ইলিশের আকাল থাকবে না।

জাটকা এবং মা-ইলিশ রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে না হলে আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে অহংকার করবে না। আগামী ৭-২৮ অক্টোবর ২০২২ অভিযান সফল করতে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মৎস্যজীবী এবং সর্বস্তরের জনগনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রত্যাশা করেন।

সম্মানিত আলোচকের বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)। উৎসবের মহাসচিব হারুন আল রশিদ এর সঞ্চালনায় উৎসবের চেয়ারম্যান অ্যাড. বিনয় ভূষন মজুমদার এর সভাপতিত্বে উপসাথিত ছিলেন উৎসবের উপদেষ্টা ইয়র্ক ফ্যাশন এর পরিচালক সেলিম খান, মৎসজীবী নেতা মানিক দেওয়ান ও শাহআলম মল্লিক।

 

Related posts

Leave a Comment