চালাক, চতুর ও ধূর্ত প্রাণী হিসেবে শেয়ালের একটা আলাদা খ্যাতি আছে। কিন্তু তা হলে কী হবে, মানুষ শেয়ালের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি চালাক। তাই তো শেয়াল মানুষের মাংস না খেলেও মানুষ কিন্তু ঠিকই শেয়ালের মাংস খায়। শেয়ালের মাংস খেতে গিয়ে বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হতে হয়।
চাঁদপুরে পৌরসভায় প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের রওশন রাইস মিলের সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়। দুনিয়ার এত কিছু থাকতে কেন শেয়ালের মাংস খেতে হবে, সেটা এক বিস্ময়। তবে আমাদের দেশে কিছু মানুষের মধ্যে বিশ্বাস আছে যে, বাত-ব্যথা কিংবা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিয়ালের মাংস রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এই বিশ্বাসের কারণে একশ্রেণির মানুষ সুযোগ পেলেই শেয়াল ধরে মাংস বিক্রি করেন। এর ক্রেতারও অভাব হয় না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে বস্তা ভর্তি করে শেয়ালের মাথা ও মাংস নিয়ে রাস্তার পাশে বসে বিভিন্ন রোগের উপকার হবে বলে এই মাংস বিক্রি করে। স্থানীয় লোকজন আরো জানান, প্রতি কেজি শিয়ালের মাংস এক হাজার টাকা ধরে বিক্রি করছে। শিয়ালের মাংস প্রমাণ করতে সাথে শিয়ালের মাথা ও চারমা পাশে রাখা হয়েছে।
শিয়ালের মাংস বিক্রি সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বাড়ি মতলব উত্তরের চ্যাংড়াচর বাজার। শিয়ালের মাংস বয়স্ক মানুষের জন্য খুব উপকার তাই ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছি। ভাই সব সময় তো আর পড়ে না মাঝেমধ্যে হলে করি।