হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম: প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন । আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, তাই মনোযোগ দিয়ে পুরো লেখাটি পড়ুন!
এক নজরে দেখে নিন
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
জন্মের পর সরকারি খাতায় প্রথম নাম লেখানোই জন্ম নিবন্ধন। একটি শিশুর জন্ম নিজ দেশকে, বিশ্বকে আইনগতভাবে জানান দেয়ার একমাত্র পথ জন্মের পর জন্মনিবন্ধন করা। নবজাতকের একটি নাম ও একটি জাতীয়তা নিশ্চিত করতে এটি হচ্ছে প্রথম আইনগত ধাপ।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
বর্তমানে সকলের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ পুরাতন হাতে লেখা জন্ম সনদ বর্তমানে কোন কাজে লাগে না। এজন্য আপনাকে সনদটি অনলাইন বা ডিজিটাল করে নিতে হবে। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করার জন্য বেশকিছু নিয়ম আছে। যে গুলো আপনি ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ করলে খুব অল্প সময়ে ও ঝামেলা ছাড়াই করতে পারবেন।
- পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য প্রথমে আপনাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন www.bdris.gov.bd নামক সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। উক্ত লিংকে প্রবেশ করলে নিচের মতো দেখতে পাবেন। তারপর আপনাকে ‘মেনু’ অপশন থেকে “জন্ম নিবন্ধন” নামক অপশনে ক্লিক দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন নামক অপশনে ক্লিক দিলে অনেকগুলো অপশন আপনার সামনে হাজির হবে।
- সেখান থেকে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে “জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রণ” অপশনটি।
- “জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রণ” অপশনটিতে ক্লিক দিলে নিচের মত একটা পেজ আসবে। সেখানে আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ সঠিকভাবে দিতে হবে। এরপর একটু নিচে দেখতে পাবেন “অনুসন্ধান” নামক অপশন সেখানে ক্লিক করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন যদি অনলাইনে নিবন্ধন থাকে তাহলে দেখতে পাবেন সেখানে আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম। সকল তথ্য সঠিক থাকলে এবার আপনাকে “নির্বাচন করুন” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
- নির্বাচন করুন অপশনে ক্লিক করার পর আপনার কাছে একটা পপআপ আসবে। “আপনি কি নিশ্চিত” এরকম একটা লেখা আসলে আপনাকে “কনফার্ম” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- নির্বাচন করুন অপশনে ক্লিক করার পর আপনার কাছে একটা পপআপ আসবে। “আপনি কি নিশ্চিত” এরকম একটা লেখা আসলে আপনাকে “কনফার্ম” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এবার নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা দিতে হবে। এই পেজে আপনাকে দেশ, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং অফিসের তথ্য সঠিকভাবে সিলেক্ট করতে হবে।
- নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানার একটু নিচেই দেখতে পাবেন আবেদনকারী তথ্য প্রদানের অপশন। নিবন্ধিত ব্যক্তির বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে সম্পর্কের জায়গায় নিজ দিতে হবে।
- যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে সম্পর্কের জায়গায় পিতা দিতে হবে। এজন্য অবশ্যই পিতার কিছু তথ্য দরকার হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর।
- তবে উল্লেখ্য, ২০০১ সালের আগে জন্মগ্রহণ করলে পিতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন পড়ে না। আবেদনকারী নিজ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব তথ্য পূরণ হয়ে যাবে।
- এরপর ফোন নম্বরের ঘরে আপনাকে একটি সচল ফোন নম্বর দিতে হবে। ইমেইল দিলেও চলে আবার না দিলেও চলে। এরপর আপনাকে “সাবমিট” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর নিজের মতো একটা পেজ আসবে। সেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন আইডি নম্বর দেখতে পাবেন। আর নিচে “আবেদনপত্র প্রিন্ট” নামক অপশন থেকে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে পারবেন। আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ বলে দেবে সেই তারিখের মধ্যে নিবন্ধকের কার্যালয়ে আবেদন পত্রটি দাখিল করতে হবে।
আপনি যদি গ্রামের হন তাহলে ইউনিয়ন পরিষদে অথবা পৌরসভার হলে পৌরসভা অফিসে জমা দিতে হবে।
- ইউনিয়ন পরিষদে কিংবা নিবন্ধন অফিসে আবেদনপত্রের সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু ফি জমা দিতে হয়। এরপর আপনাকে তারা সময় দিবে।
উক্ত তারিখের মধ্যে আপনি কাঙ্খিত অনলাইন জন্ম নিবন্ধনটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে খুব সহজে হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে নিতে পারবেন।
আপনি যদি এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার একটি মন্তব্য আমাদের অনেক উৎসাহ দেয়। আশা করি আপনারা আজকের পোস্ট: পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম পড়ে পুরো বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করার জন্য!