শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধুমাত্র পূজাকে সামনে রেখেই এই সম্প্রীতি সমাবেশ নয়, সবসময় সম্প্রীতি ধরে রাখতে হবে। প্রতিটি নাগরিক সমান পর্যাদা নিয়ে এদেশে বসবাস করবে। বারবার ধর্মের নামে যে আঘাত করা হচ্ছে। কোন ধর্মই নরহত্যাকে সমর্থন করে না। এমনকি কোন রাষ্ট্রের আইনেও সংখ্যালঘুকে আঘাত সমর্থন করে না।
শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষের অংশগ্রহনে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যে মুসলমানদের অত্যাচর করেছে তারা কি শান্তির কাজ করেছে? এজন্যে কি সম্পূর্ন বৌদ্ধ ধর্ম দায়ী হবে? তা হতে পারে না। কোন একটি ব্যক্তি বা উগ্রগোষ্ঠীর দায় কোন ধর্ম দায়ী নয়। সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে থাকে।
মারামারি কাটাকাটির মধ্য দিয়ে কোন দেশ উন্নয়ন হয় না। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু ও ধর্মপ্রান মানুষ। আমাদের দেশটাকে গড়বার জন্যে সকল ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেন। সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকউল্লাহ পাটওয়ারী, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন খন্দকার, জেলা স্কাউটস এর সম্পাদক অজয় ভৌমিক, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায়, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ প্রমূখ।