ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য
চুলের দিকে তাকালেই মন খারাপ হয়ে যায়? না সঠিকভাবে বাড়ছে, না ঝলমলে হয়ে উঠছে- এমন হলে মন খারাপ তো হবেই। কারণ চুল যত সুন্দর হবে, আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়বে ততই। তবে মন খারাপ করার আগে ভেবে দেখুন তো, চুলের এই দশার পেছনে আপনার উদাসীনতা দায়ী কি-না! কখনো কি কারণ খুঁজেছেন চুল কেন এমন হচ্ছে, কী করলে তা সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠবে? চুল দ্রুত লম্বা ও ঝলমলে করার জন্য মেনে চলতে পারেন কিছু সহজ উপায়-
নিয়মিত তেল ব্যবহার
চুলে তেল মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে, চুলের গোড়ায় পৌঁছায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি। মাথা ঠান্ডা রাখার জন্যও চুলে তেল ব্যবহার করা জরুরি। সপ্তাহে একদিন তেলের সঙ্গে আরও কিছু ভেষজ উপাদান মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে কোনো পুষ্টির ঘাটতি থাকলে তা দূর হবে দ্রুত। তবে তেল ব্যবহারের সময় খেয়াল করুন তা যেন শুধু চুলের পাশাপাশি স্ক্যাল্পেও ভালোভাবে মালিশ করা হয়। কারণ স্ক্যাল্পে তেল জমা হলে তা বেশি কার্যকরী হবে। তেল ব্যবহারের আগে হালকা গরম করে নিতে পারলে ভালো। চুলের যত্নে সবচেয়ে উপকারী হলো নারিকেল তেল। এছাড়া অলিভ কিংবা আমন্ড অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
হেয়ার স্পা কেন করবেন
আপনার চুল যদি অতিরিক্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে তাহলে স্বাভাবিক যত্ন নেয়ার পরেও তেমন উন্নতি হবে না। তখন প্রয়োজন পড়বে বাড়তি যত্নের। চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে পারলেই কেবল তার হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তেল, মধু, ডিম ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করতে পারেন উপকারী কোনো হেয়ার মাস্ক। চুলের যত্নে পাকা কলাও বেশ কার্যকরী। আপনার রান্নাঘরেই এমন অনেক উপাদান আছে যা চুলের যত্নে বেশ কার্যকরী। সপ্তাহে অন্তত একদিন হেয়ার স্পা করুন। এতে চুল আরও মজবুত হবে, চুলের ভঙ্গুরতা রোধ হবে।
চুলের জন্য সঠিক উপাদান
এমন অনেক উপকারী উপাদান থাকতে পারে যা আসলে আপনার চুলের জন্য উপকারী নয়। আপনার চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সুন্দর করতে এমন উপাদান প্রয়োজন যা চুলের ক্ষতি রোধ করবে। বাইরের কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে ভালোভাবে জেনে নিন, সেটি আসলেই আপনার চুলের জন্য সঠিক কি না। সেসব প্রোডাক্টে যেন সিলিকন, প্যারাবেন বা অ্যালকোহল না থাকে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে তাতে ব্যবহৃত উপাদানের তালিকায় ভালোভাবে চোখ বুলিয়ে নেবেন। নিজের চুলের ধরন সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী উপাদান বেছে নিতে হবে।
বেছে নিন প্রাকৃতিক উপাদান
চুলের যত্নে সবচেয়ে উপকারী হলো প্রাকৃতিক উপাদান। চুল ভালো রাখতে নারিকেল তেল তো কাজ করেই, সেইসঙ্গে যদি আরও কিছু ভেষজ উপাদান যোগ হয় তাহলে তো কথাই নেই! আমলকী, তুলসি, নিমপাতা, ত্রিফলা এসব উপাদান ব্যবহার করতে পারেন চুলের যত্নে। এসব প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ শ্যাম্পুও বেছে নিতে পারেন চুল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে।