ত্রিশের পরে নারীরা যে ৫ কাজ করবেন
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী সাধারণত অন্যের জন্য ভাবতে গিয়ে নিজের জন্য ভাবার সময় পান না। পরিবারের সবার যত্ন নিলেও নিজের প্রতি যত্নশীল থাকেন না। তাই তো অল্প বয়সেই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়। আর বয়স ৩০ পার হলে তো কথাই নেই, তখন তারা চলে যান বয়স্কদের কাতারে!
নারী ও পুরুষের শরীরের গঠনে রয়েছে বেশকিছু পার্থক্য। পুরুষের শরীরের গঠনের তুলনায় নারীর শরীরের গঠন প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এ কারণেই নারীকে তার নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সবদিক সামলানোর পাশাপাশি নিজের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে ত্রিশের পরেও সুস্থ ও সুন্দর থাকা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি
মেয়েদের হাড়ের ক্ষয় রোগ শুরু হয় মূলত ত্রিশ বছর পার হলেই। এ সময় বাড়তি যত্ন না নিলে হার দ্রুত নাজুক হয়ে পড়ে। তাই ৩০ পার হলে খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। পাশাপাশি সকালের রোদ গায়ে মাখতে হবে প্রতিদিন। এতে করে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে তা দূর হবে সহজে। আর তুমি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে না থাকলে হাড় ভালো থাকে। যেসব খাবারে ক্যালসিয়াম পাবেন তা হলো- ব্রকলি, বাদাম, দুধ, পনির ইত্যাদি। এসব খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে হাড় ভালো থাকবে।
কিছু রোগ সম্পর্কে ধারণা
কিছু রোগ রয়েছে যা কেবল মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ইত্যাদি। ব্রেস্ট ক্যান্সার ছেলে-মেয়ে উভয়েরই হতে পারে, তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এসব রোগ সম্পর্কে যতটা সম্ভব জেনে নিন। এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখুন। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পরলে এর চিকিৎসা সহজ হয়।
ভেষজ উপাদান
বয়স ৩০ পার হলে মেয়েদের শরীরের দিক ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। যার ফলে হরমোনাল ফাংশন ঠিক থাকে না। আর এ কারণে নানা রকম অসুখ দেখা দিতে পারে। নিয়মিত বিভিন্ন ভেষজ উপাদান গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। তুলসী পাতা, অশ্বগন্ধা ইত্যাদি উপাদান খেতে পারেন। কারণ এগুলো খেলে হরমোন ক্ষরণ সঠিক থাকে।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ আমাদের বয়স বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এই চাপ একটু একটু করে আমাদেরকে বৃদ্ধ করে দেয়। তাই সব রকম স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। হাসিখুশি থাকুন, নিজেকে সময় দিন। মা হওয়ার কথা ভাবলে স্ট্রেসকে একদমই পাত্তা দেবেন না। কারণ এই মানসিক চাপ শুধু আপনার নয়, আপনার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করতে পারে।
খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকুন
নারীরা একটি বিষয়ে খুব অবহেলা করেন আর সেটি হলো নিজের খাবার। সবার জন্য পছন্দের খাবার তৈরি করলেও নিজের জন্য একটা কিছু হলেই হয় এমন ধারণা নিয়ে বাঁচেন। কিন্তু এটি একদমই করা যাবে না। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তালিকা তৈরি করে নিন। করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা।