নিজস্ব প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরে বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়কে হত্যা মামলায় ছেলে বাঞ্জারাম রায়কে (৪৮) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা আদালতের বিচারক। এছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাঞ্জরাম রায় দিনাজপুর জেলা সদরের আমইর গ্রামের বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়ের বড় ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, একমাত্র আসামি বাঞ্জারাম রায় ও তার বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলে আসছিল। ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ভিকটিম বনরাম রায় প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে আসলে বাঞ্জারাম রায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি তার বাবার ওপর হামলা চালায়। বাবা বনরাম রায় চিৎকার করলে ছোট ছেলে নোহারাম রায় তাকে উদ্ধার করতে
এগিয়ে আসলে তাকেও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে বাঞ্জারাম রায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বাবা বনরাম রায় ও ছোট ছেলে নোহারাম রায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বনরাম রায় মারা যান।
ছোট ছেলের স্ত্রী কুমুতি রানী রায় বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পিপি অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। একাধিক স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।