দীর্ঘ বিমান ভ্রমণে ক্লান্তি দূর করবেন যেভাবে
বিমানে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করলে ক্লান্তি আসবেই। অভ্যন্তরীন বিমান ভ্রমণে সময় অল্প লাগে। কিন্তু যদি তা হয় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত, তাহলে যাত্রাকালে আপনি হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। আর বিমান থেকে নামার পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য আপনি যা করতে পারেন আজ সেসব ব্যাপারে কথা বলবো:
১. বই পড়া
বিমান থাকাকালীন বই পড়লে অবসাদ দূর করা যায়। বই পড়ার ফলে আপনার মন দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণের একঘেঁয়েমি থেকে বাঁচবে। এতে বইয়ের পৃষ্ঠায় চোখ রাখার সঙ্গে সঙ্গে আপনি দ্রুত আপনার মনের একঘেঁয়ে ও এলোমেলো চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
২. সিনেমা দেখা
বিমান থেকে নেমে সিনেমাও দেখতে পারেন। হাসির সিনেমা দেখলে আরও ভালো। এতে আপনার যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলে নতুন কোনো বিষয়ে মনোযোগ চলে আসবে এবং হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে।
৩. পডকাস্ট শোনা
পডকাস্টে কৌতুক শুনতে পারেন। কৌতুক শুনলে যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলে অনায়াসে সময় কেটে যাবে। এতে ভালো থাকবে আপনার মন। দ্রুত সময় কেটে যাবে।
৪. দিনলিপি লেখা
বিমানে থাকাকালীন লিখতে পারেন দিনলিপি। আপনার সারাদিনের অভিজ্ঞতাগুলো লিখে ফেলতে পারেন। আবার ভ্রমণের সময় কী কী আপনার চোখে পড়ছে তার একটি তালিকাও করে ফেলতে পারেন।
৫. খেলা করা
বিমান থেকে নামার পর সঙ্গীদের নিয়ে ঘরোয়া খেলা যেমন লুডু, দাবা, তাস খেলা যেতে পারে। এর ফলে দ্রুত আপনার সময় কেটে যাবে। ক্লান্তিও শেষ হয়ে যাবে।
৬. গান শোনা
গান বিনোদনের একটি মাধ্যম। এতে মন ভালো হয়ে যায় অনায়াসে। বিমান থেকে নামার পর গান শুনলেও আপনি সতেজ অনুভব করতে পারেন। পছন্দের কোনো গান আপনার যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে।
৭. স্থানীয় ভাষা শেখা
বিমান থেকে নেমে স্থানীয় ভাষা সম্পর্কে আগ্রহ দেখাতে পারেন। এতে আপনি যাত্রাপথের একঘেঁয়েমি ভুলে যাবেন। ভাষাশিক্ষার ফলে আপনি ভ্রমণ করতে গিয়ে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
৮. ব্যায়াম করুন
বিমান থেকে নামার পর কোনো জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সিদ্ধান্তটি ভালো। এতে আপনার শরীর স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবে। মন সতেজ হবে। হাত ও পায়ের পেশী শক্ত হবে।
৯. অন্যদের সঙ্গে আলাপ করা
যাত্রাকালে আপনার সহযাত্রীর সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। সহযাত্রীর সঙ্গে কথা বলার ফলে যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলে আপনি আবার সতেজ হয়ে উঠবেন। একঘেঁয়েমি দূর হবে। মন ভালো হয়ে যাবে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সহযাত্রী যেন বিরক্ত না হয়।