বাংলাদেশ

দেশে গবেষণার সুযোগ খুবই কম

pm-sheikh-hasina

চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষ করে ক্যান্সারের ওপর আরও গবেষণায় গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ুর সঙ্গে ক্যান্সার কিভাবে বিস্তার লাভ করে সেজন্য গবেষণা দরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গবেষণার সুযোগ খুবই কম। বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা খুব বেশি একটা হচ্ছে না। যেটা হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন।’

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জে ‘কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্স অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ’ নামে ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সময় শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যান্সার এমন একটা রোগ এবং যেভাবে এর প্রাদুর্ভাব হচ্ছে, দেশে সেভাবে ডায়াগনোসিস হচ্ছে না। দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ুর সঙ্গে এ ক্যান্সার কিভাবে বিস্তার লাভ করে, সেটার জন্য যে গবেষণা দরকার তা আমাদের দেশে খুব কমই হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর রিসার্চের জন্য অনেকগুলো ইনস্টিটিউট তৈরি করে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে সেগুলোকে উন্নত করার পাশাপাশি আরও নতুন ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। কারণ গবেষণা আমাদের জন্য একান্ত অপরিহার্য। কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারটি তৈরি হলে মানুষ দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ আরও ভালোভাবে পাবে। কারণ দেশের সকল মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল বিভাগে অন্তত একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। সকল বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখানে রিসার্চের সুযোগ হবে। তবে, আমি মনে করি যে বেসরকারি খাতকে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

বেসরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ১৯৯৬ সাল থেকেই সরকার বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেছে। শুধু তাই নয় বেসরকারি খাতে হাসপাতাল করতে যেসব যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামাদির প্রয়োজন হয় সেগুলোকে ট্যাক্স ফ্রি এবং ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠায় যেমন সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এমনকি শিশুদের জন্য ইনকিউবেটরসহ যা যা প্রয়োজনে সেগুলোও আমি সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছিলাম। যে কারণে আমাদের দেশে অনেকগুলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখানে কুমুদিনী ট্রাস্ট সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই যে উদ্যোগ কুমুদিনী ট্রাস্ট নিয়েছে, তা অত্যন্ত সফলভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেজন্য আমি কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং বিশেষ করে শ্রীমতি সাহা এবং রাজিব সাহার প্রতি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার নাতি এবং কুমুদিনী ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রীমতি সাহা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যরা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা রনদা প্রসাদ সাহার ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রচারিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ মে দানবীর রনদা প্রসাদ এবং তার ছেলে ভবানী প্রসাদকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নারায়ণগঞ্জে তাদের বাসভবন থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আর তারা ফেরেননি।

Related Articles

Back to top button