নিজেকে শুধরে নেওয়ার উপায়
একে অপরের সঙ্গে ভালো ব্যবহার চারিত্রিক সৌন্দর্যের উদাহরণ। যেসব মানুষ খারাপ ব্যবহার করেন সেসব মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। কিন্তু এমন অনেকে রয়েছেন যারা মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। কিন্তু চাইলেই খারাপের বৃত্ত থেকে নিজেকে বের করা যায় না। ভালো হওয়ার জন্য করতে হবে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। সেক্ষেত্রে অন্যদেরও উচিত হবে তাদের ভালো হতে সহায়তা করা। সমাজের বৃহত্তর প্রয়োজনে তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। যেসব মানুষ খারাপ থেকে ভালো হতে চাইছেন তারা কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
ভদ্রভাবে থাকুন
যখন কথা বলবেন তখন কি বলতে চান সেটি ভালোভাবে ভেবে নিন। আপনার কথার কারণে অন্য মানুষ কষ্ট পাবে কি না সেই বিষয়ে চিন্তা করুন। বেশিরভাগ মানুষ চিন্তাভাবনা না করে হুটহাট কথা বলে দেন ও অন্য মানুষ কষ্ট পেল কি না সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ করেন না। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সবসময় ভদ্রভাবে থাকুন। রুক্ষ মেজাজ নিয়ে যিনি তেড়ে আসেন তাকে সবাই এড়িয়ে চলেন। অন্যের অনুভূতির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
অনর্থক গল্পগুজব করবেন না
বন্ধুদের সঙ্গে অনর্থক কোনো বিষয় নিয়ে গল্পগুজব শুরু হলে কৌশলে তা এড়িয়ে যান। নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন। অনর্থক গল্পগুজবে অংশ নিলে সময়ের অপচয় হয়। খারাপ থেকে ভালো হওয়ার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে অনর্থক সময় নষ্ট পারতপক্ষে না করাই মঙ্গল। মানুষের গঠনমূলক বিষয়ে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু আপত্তিকর বিষয়ে সমালোচনা কখনোই আকাঙ্ক্ষিত নয়।
বুঝে বলুন
কারও সঙ্গে কথা বলার সময় রেহার্সেল করে নেয়া দরকার। প্রয়োজনে ডায়েরি বা নোটপ্যাডে সেগুলো লিখে রেহার্সেল করে নেয়া যেতে পারে। এতে বেফাঁস কথা বলে ফেলার ঝুঁকি কমে যাবে। শরীরের অঙ্গভঙ্গী দ্বারা রেহার্সেল করে নিলে মানুষের সঙ্গে সর্বোত্তম যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে কথা বলার গতির দিকে নজর রাখা অধিক উত্তম। কথা বলার সময় তোঁতলামি থাকলে মানুষের আস্থাভাজন হওয়া যায় না। তোঁতলামির অভ্যাস থাকলে দ্রুত শুধরে নেয়া উচিত। কারণ তোঁতলা মানুষকে অন্যরা উপহাসের দৃষ্টিতে দেখে।
মানুষের কথা শুনুন
বেশিরভাগ মানুষ কেবল নিজে বলতে চান। অন্যকে বলার সুযোগ দেন না। খারাপ অভ্যাস ছেড়ে সুপথে ফেরার জন্য ভালো শ্রোতা হওয়া বাঞ্ছনীয়। মনোযোগ দিয়ে কথা শুনলে সবাই আপনাকে বিশ্বাস করবে এবং পরবর্তীতে আপনার সঙ্গে অনেক কথা শেয়ার করবে। তাই অন্য মানুষ যখন আপনার সঙ্গে কথা বলেন তখন তার কথার মধ্যে ফোঁড়ন না কেটে শুনতে হবে এবং কথা শেষ হওয়ার পর উত্তর বা প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে বলতে হবে।