লাইফস্টাইল

পিরিয়ডে পেটে ব্যথা হলে যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলবেন

বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়। পিরিয়ডের সময় অস্বাভাবিক পেটে ব্যথায় ভোগেন তারা। নানারকম ওষুধ খেয়েও এই ব্যথা কমানো সম্ভব হয় না। আবার ব্যথার ওষুধ নিয়মিত খাওয়াও কোনো কাজের কথা নয়। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো এই সময়ে খেলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই সেসব খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব খাবারগুলো সম্পর্কে-

চা ও কফি এড়িয়ে চলুন

চা ও কফি এমনিতে উপকারী। তবে অনেক নারীর ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় চা কিংবা কফি খেলে পেটে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। আপনিও যদি একই সমস্যায় ভোগেন তবে এই সময়টাতে চা ও কফি এড়িয়ে চলুন। তবে একেবারে বাদ না দিয়ে দিনে একবার খাওয়া যেতে পারে, এর বেশি নয়। এছাড়াও সব রকম কোমল পানীয় বাদ দিন এই সময়ে। এর ফলে পেটে ব্যথার সমস্যা কমবে অনেকটাই।

এড়িয়ে চলুন ফাস্টফুড

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সব সময়ই অপকারী। পিরিয়ডের সময় এই খাবার আরও বেশি এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবার শরীরে নানা অস্বস্তি, পেটে ব্যথা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই পিজ্জা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা এ জাতীয় যেকোনো খাবার যতই ভালোলাগুক না কেন, এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এর বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে পিরিয়ডের সময়েও সুস্থ থাকতে পারবেন।

লবণ থেকে দূরে থাকুন

খাবারের তালিকা থেকে লবণ একেবারেই বাদ দেবেন না। কারণ লবণ ছাড়া খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। তবে পিরিয়ডের সময়ে চেষ্টা করুন লবণটা একটু কমিয়ে খেতে। খাবারের সঙ্গে বাড়তি লবণ নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও তা বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এই সময়ে লবণ বেশি খেলে তা পেটের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন।

দুধ পান থেকে বিরত থাকুন

দুধ পানের আছে অনেক উপকারিতা। কিন্তু পিরিয়ডের সময় দুধ পান করলে অনেকের পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই অস্বস্তি এড়াতে এসময় দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন। দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার এই সময়ে পেটে ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এ ধরণের খাবার এই সময়ে এড়িয়ে চলুন।

চিনির অপকারিতা

চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তেমন উপকারী নয় একথা সবারই জানা। এটি পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময় চিনি খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিন। এই সময়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার যত কম খাবেন ততই উত্তম।

Related Articles

Back to top button