পেসারদের ভালো করা কঠিন : ডমিঙ্গো
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শুরুর ম্যাচে চট্টগ্রামে মাত্র এক পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। উইকেট বিবেচনায় দলের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানালেন টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দলে ফাস্ট বোলার বাড়ানোর চেষ্টা করলেও এখানকার উইকেটে পেসারদের ভালো করা কঠিন বলে জানান তিনি।
করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। যেখানে রাখা হয়েছে ৫ পেসার। টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেনের পাশাপাশি তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর সঙ্গে তরুণ হাসান মাহমুদকে সুযোগ পেয়েছেন। তবে প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একজন পেসার।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। দলের অভিজ্ঞ বোলার সাকিব আল হাসান না থাকলেও প্রথম ইনিংসে খেলা হওয়া ৯৭ ওভারের মধ্যে মুস্তাফিজ হাত ঘুরিয়েছেন মোটে ১৫ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত বল করেছে ৪০ ওভার। সেখানে মুস্তাফিজ করেছেন ৪ ওভার।
পেসারদের নিয়ে আসলে কি ভাবছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট? চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এক ভিডিও বার্তায় ডমিঙ্গো জানান, দলে পেসার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তবে এমন উইকেটে তাদের জন্য কাজটা কঠিন বলেই এক পেসারের পথে হাঁটছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করছি দলে ফাস্ট বোলারদের ভেড়ানোর। এমন উইকেটে অবশ্য কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশ দেখুন- তাদের কেমার রোচ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের মতো অনেক অভিজ্ঞ দুই ফাস্ট বোলার আছে। ২৩০ রানের মত খরচ করে তারা মাত্র ২ উইকেট পেয়েছে এই পিচে। তাই এই উইকেটে ফাস্ট বোলারদের ভালো করা কঠিন। গতি নেই, বাউন্স নেই, এসব বিবেচনা করেই আমরা হোম টেস্টের একাদশে পেসারদের বিবেচনা করি।’
এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৩টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতের বিপক্ষে ২ ম্যাচ হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ হার। মাঝে অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট জিতলেও সেটি চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল না। এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ জয়ের খুব কাছে টাইগাররা।
উইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পাওয়া দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ডমিঙ্গো, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা অনেক গুরুত্ব দিতে চাইছি। আমরা উন্নতি করতে চাই। আমি জানি, ঘরের বাইরে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো নয়। এই দলের আরও বেশি টেস্ট খেলা প্রয়োজন। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অনেক দল ১৬-১৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে, অথচ আমরা মাত্র ৩টি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। বছরে মাত্র ৩ থেকে ৪টি টেস্ট খেলা হয়। আমরা যত বেশি খেলব, ততো ভালো করব এবং আশা করি উন্নতিও করব।’