বন্ধ হচ্ছে শিশু নিপীড়নের স্বয়ংক্রিয় ছবি শনাক্ত
গ্লোবাল ইন্টারনেট ফার্মগুলো শিশু নিপীড়নের ছবি শনাক্তের স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার তাদের সিস্টেম থেকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের পুলিশকে শিশু নিপীড়নকারী শনাক্তে সহায়তা করে এলেও বিতর্কের মুখে পড়ে ফার্মগুলো আগামী সোমবার থেকে এই সেবা বন্ধ করে দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শিশু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু নিপীড়ন শনাক্তকরণ সফটওয়্যার বাদ দেয়ার ব্যাপারে চারদিকে যে হৈ চৈ চলছে, তা অমীমাংসিত থাকলে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ইইউয়ের নতুন দুটি আইন শিশু নিপীড়নকারীদের সুযোগ করে দেবে। নতুন আইন দুটি গ্লোবাল ইন্টারনেট ফার্মগুলোকে শিশু নিপীড়নকারী শনাক্তকারী সফটওয়্যার তৈরির জন্য দায়ী করতে পারে।
গত এক দশক ধরে শিশু নিপীড়ন শনাক্তের এই সফটওয়্যারটি শিশু নিপীড়ন শনাক্ত করে আসছে। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে এক আলোচনায় ইউরোপে নতুন দুটি আইনের ব্যাপারে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় আইনসভা, ইইউ ও ইউরোপীয় কমিশনের সদস্যরা।
এই আলোচনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের শিশু তহবিলের সেক্রেটারি জন কার বলেন, ব্রাসেলসের আলোচনা ব্যর্থ হলে শিশু নিপীড়ন বেড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আইন দু’টি সংশোধন করা না হলে শিশুদের ধর্ষণের পর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিতর্কিত গোপনীয়তার নীতি যদি আইনে রূপান্তর করা যায়; তাহলে ইন্টারনেট কোম্পানি থেকে শিশু নিপীড়নের রিপোর্টগুলোও বিবেচনায় নেয়া সম্ভব। আর ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েট চিলড্রেন এক কোটি ৭০ লাখ শিশু নিপীড়নের বিষয়ে জানতে পেরেছে।
ব্রাসেলস আলোচনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছেন, ইইউ যে দুটি আইন প্রণয়ন করেছে, তা শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই আইনের সুযোগ নিয়ে কেউ অপরাধে লিপ্ত হলে তার দায়ভার ইইউকে নিতে হবে।