বাড়িতে দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে প্রতি বছর ১১ সহস্রাধিক মানুষ পড়ে যাওয়া, আগুনে পুড়ে যাওয়া, পানিতে ডুবে যাওয়া, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ অন্যান্য বড় ও ছোট দুর্ঘটনার শিকার হন। এসব দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা।
এক মাল্টিপ্লাগে অনেকগুলো সকেট রাখবেন না
মোবাইল চার্জ দেয়া বা অন্য কোনো কাজ করার জন্য অনেকেই এক মাল্টিপ্লাগে অনেকগুলো সকেট রাখেন। একসঙ্গে অনেক সকেট রাখার জন্য বিদ্যুতায়িত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই এক মাল্টিপ্লাগে অনেক সকেট না রেখে একটি বা দুটি সকেট রাখা শোভনীয়।
রান্নার সময় কড়াইয়ের হাতল ধরুন
রান্না করার সময় কড়াইয়ের হাতল ধরলে তরকারির গরম ভাঁপ নিজের হাতে অনুভূত হয় না। গরম ভাঁপ লাগার ফলে অনেকের হাতে ফোস্কা পড়ে যায়। এই কারণে রান্নার সময় কড়াইয়ের হাতল ধরা বাঞ্ছনীয়। তবে হাতল ধরার সময় অবশ্যই কাপড়ের সাহায্যে ধরবেন।
নাগালের বাইরে রাখুন ধারালো যন্ত্রপাতি
ছুরি, কাঁচিসহ অন্যান্য ধারালো যন্ত্রপাতি নাগালের বাইরে রাখা সমীচীন। বিশেষ করে যে ঘরে শিশুরা থাকে সেই ঘরে এসব ধারালো যন্ত্রপাতি অগোছালোভাবে রাখা সঙ্গত নয়। ধারালো যন্ত্রপাতির কারণে যে কোনো সময় অসাবধানতায় হাত-পা বা শরীরের অন্য কোনো অংশ কেঁটে যেতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডে নিরাপদ থাকুন
আগুন থেকে বাঁচার জন্য ঘরে আগুন নেভানোর যন্ত্র রাখতে হবে। অসাবধানতার কারণে যেকোনো সময় ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আগুন নেভানোর যন্ত্র ব্যবহার করলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। আগুন থেকে বাঁচতে নিরাপদে রান্নার ব্যবস্থা করুন।
কীটনাশক সরিয়ে রাখুন
ঘরে কোনো কীটনাশক বা ঘুমের ওষুধ থাকলে তা সরিয়ে রাখাই ভালো। বিশেষ করে যেসব ঘরে শিশু-কিশোর রয়েছে সেসব ঘরে এসব দ্রব্য না রাখাই শোভনীয়। যদি কোনো কারণে রাখতেই হয়, তাহলে তা শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। কারণ কীটনাশক বা ঘুমের ওষুধ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ভীষণ হতাশাগ্রস্ত মানুষের কাছেও এসব দ্রব্য রাখা ঠিক নয়।
সিঁড়িতে রাখুন নিরাপত্তা
শিশুদের খেলাধুলার জন্য সিঁড়িতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা যেতে পারে। ব্যবহার করা যেতে পারে গেইট। যাতে শিশুরা অসাবধানতার কারণে সিঁড়ি থেকে পড়ে যেতে না পারে। সিঁড়িতে গেইট সীমানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।