বিশ্বস্ত হতে চান!
বিশ্বাসের ভিত্তিতে সম্পর্ক তৈরি হয়। অনেকেই চেষ্টা করেন সম্পর্কে বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য। সম্পর্কে অবিশ্বাস জন্ম নিলে একে অন্যের প্রতি দূরত্ব তৈরি হয়। ভালোবাসার মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হতে অনেক উপায় অবলম্বন করা হয়।
কথা দিয়ে কথা রাখুন
সঙ্গী বিশ্বস্ত না হলে সম্পর্ক টিকে থাকে না। সে কারণে প্রিয় মানুষের সামনে কথা ও কাজের মিল রাখা একান্ত জরুরি। আস্থাভাজন সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসা স্থায়ী হয়। স্পষ্টভাষীরা সবসময় বিশ্বস্ত হন। কথা দিয়ে কথা রাখার মাধ্যমে ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক দিন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
কথা বলার সুযোগ দিন
সঙ্গীকে কথা বলার সুযোগ দিলে আস্থা বাড়ে। সম্পর্কে মান-অভিমান, রাগ, হাসি, কান্নার জন্য সঙ্গীকে তার অবস্থান স্পষ্টভাবে বোঝানোর সুযোগ দিতে হবে। আস্থার অভাবে অনেক ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যায়। আবার অনেক সম্পর্ক ঝুলে থাকে।
প্রাপ্তির হিসাব কষবেন না
প্রেমিকার সঙ্গে প্রাপ্তির হিসাব কষবেন না। প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির প্রসঙ্গ থাকলে সম্পর্ক থেকে কেমিস্ট্রি হারিয়ে যায়। তখন প্রিয় মানুষকে উপলব্ধি করা সম্ভব হয় না। প্রাপ্তির খাতায় শূন্য থাকলেও সম্পর্কে কেমিস্ট্রি আনতে বিশ্বস্ত হতে হবে। বিশ্বস্ত মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থায়ী হয়।
সম্পর্ককে প্রাধান্য দিন
সম্পর্ককে দীর্ঘ দিন টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করা। সম্পর্কে দুরত্ব সৃষ্টি হলে তা দুজনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। ভুল বোঝাবুঝি সম্পর্ককে বিষিয়ে তোলে। তাই সম্পর্ককে প্রাধান্য দিতে হবে। ভালোবাসাকে গভীর করে তোলার জন্য নিজেদের কেমিস্ট্রিকে উন্নত করতে হবে।
মাঝেমধ্যে ‘না’ বলুন
সম্পর্ককে গভীর প্রবাহে নিয়ে যেতে মাঝেমধ্যে ‘না’ বলুন। ভালোবাসার সম্পর্কে এই ‘না’ এর মাধ্যমে সঙ্গীর কাছে বিশ্বস্ত ও সম্মানিত হওয়া যায়। অনেকে মনে করতে পারেন ‘না’ বললে দুরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু মার্জিত রুচির মানুষ ‘না’-কে শ্রদ্ধা করেন।