বিনোদন

বুবলীর মামলা দেওয়ার হুমকি!

ইদানীং কাজের বাইরেও ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশ চর্চায় থাকেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ছুটির দিনে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্ষোভ উগরে দিলেন নায়িকা। নাম না করেই দিলেন মামলার হুমকি। তবে ভক্ত-দর্শকের বুঝতে বাকি নেই ঠিক কাকে নিশানা করলেন তিনি।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় নাতিদীর্ঘ এক পোস্টে হুঁশিয়ারি দেন বুবলী। তিনি লেখেন, ‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কারো নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায় তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’

নিজের পারিবারিক শিক্ষার কথা উল্লেখ করে বুবলী বলেন, ‘আর হ্যাঁ, আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনোই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি। ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি। গিরগিটির মত রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি।’

তার সংযোজন, ‘বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মত হাসতে শেখায়নি। মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসামি শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি। কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি। বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি। তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।

যাকে ইঙ্গিত করে এই স্ট্যাটাস, বুবলী তার স্বরূপ উন্মোচন করেন ঠিক এভাবে, ‘সারাক্ষণ নানান মিথ্যা বানোয়াট উস্কানিমূলক ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে অথচ পরে আবার বলবে, সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে না। সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে কিন্তু পরে বলবে, সে মানুষকে ছোট করে কথা বলে না! একেক সময় একেক রং ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরূপী চিপ মেন্টালিটির ব্যক্তিই পারে।

পোস্টের একদম শেষের কথাটি ছিল ইংরেজি শব্দে ‘লজ্জা!’ কার প্রতি তার এই লজ্জাবোধ তা মুখে না বললেও অনেকটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় অপর পক্ষ থেকে এর জবাব কী আসে।

Related Articles

Back to top button