বেশি ঘুম কি উপকারী?
ঘুম কম হলে তার প্রভাব শরীরে পড়বেই। যেমন ধরুন সারাদিন মাথা ঝিম ঝিম করা, চোখের নিচে কালি পড়া, কাজে মনোযোগ না থাকা, ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা ঘুম না হওয়ার কারণেই দেখা দেয়। টানা নিদ্রাহীনতা হতে পারে আরও বড় কোনো অসুখের কারণ। কম ঘুম তাই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু বেশি ঘুম কি উপকারী? অনেকেরই ধারণা, যত বেশি ঘুম তত বেশি শরীর ভালো থাকবে। সত্যি কি তাই? একজন সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন সাত ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি সময় ঘুমালে কিন্তু তা নানা সমস্যা ডেকে আনতে পারে। বেশি ঘুম মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকী দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের মতো অসুখও। বেশি ঘুম হতে ডিপ্রেশনেরও কারণ।
বেশি ঘুমের কারণ
আপনি যদি প্রতিদিন নয় কিংবা দশ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটান তবে তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। সাত কিংবা আট ঘণ্টা ঘুম হলেই তাকে যথেষ্ট ধরে নেয়া হয়। কম ঘুম হওয়ার জন্য যেমন কিছু কারণ দায়ী, বেশি ঘুমের ক্ষেত্রেও তাই। শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে ঘুম বেশি হতে পারে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা, থাইরয়েড, স্লিপ অ্যাপনিয়া, ডিপ্রেশন ইত্যাদি কারণেও অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। আবার অনেক সময় কিছু ওষুধের প্রভাবে ঘুম বেশি হয়ে থাকে। শরীর বেশি ক্লান্ত হলেও কিন্তু ঘুম বেশি হয়ে থাকে। আপনার ঘুমের ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা দেখা দিলে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এরপর দ্রুত তার সমাধানও করতে হবে। জেনে নিন অতিরিক্ত ঘুম থেকে দূরে থাকার উপায়-
রুটিন মেনে চলুন
যখন মন চায় তখন ঘুমিয়ে পড়বেন না। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। একই রুটিন মেনে চললে শরীর সেই অভ্যাসের সঙ্গে অভ্যস্ত হবে। ঘুমের ছন্দ ফিরে আসবে। এই ছন্দ ভেঙে ফেলবেন না কখনো। এমনকী ছুটির দিনেও মেনে চলুন এই রুটিন।
উপযোগী পরিবেশ
ভালো ঘুমের জন্য ঘুমের জায়গাটিও হওয়া চাই আরামদায়ক। ঘুমের ক্ক্ষটি যেন ঠান্ডা ও অন্ধকার হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে সব রকম গ্যাজেট দূরে সরিয়ে রাখুন। যে ধরনের বিছানা ও বালিশে আপনি আরামবোধ করেন, সেই ধরনের বিছানাই ব্যবহার করুন।
কিছু অভ্যাস বদলে ফেলুন
আপনার প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস ঘুমের রুটিনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই ঘুমের ছন্দ ঠিক রাখতে দিনের বেলা মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। কিছু অভ্যাস বাদ দিতে হবে। অনেকে দিনে কয়েকবার চা-কফি খেয়ে থাকেন। দিনে দুই কাপ পর্যন্ত ঠিক আছে। এর বেশি নয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনো শরীরচর্চা করবেন না। এতে ক্লান্তিতে ঘুম বেশি হতে পারে।