ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন সাদমান
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিলেন ক্রিকেটাররা। এরপর ঘরোয়া টুর্নামেন্টে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাঠে নামে তারা। ৩৪৪ দিনের অধিক সময় পর আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সবই ভালো গেছে। তবে টেস্ট ফরম্যাটে মাঠে নেমেই যেন খেই হারালেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। এজন্য নিজেদের ঘাটতি দেখছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।
উইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চাশ ওভারের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সীমিত ওভারের ফরম্যাটে বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি টাইগার ব্যাটসম্যানদের। শুরুর দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে দেড়শ রানের নিচে গুঁটিয়ে যায় ক্যারিবীয় দল। এজন্য ব্যাটিং অর্ডারের গভীরতা দেখার তেমন সুযোগ হয়নি স্বাগতিকদের।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সেখানে ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা স্পষ্ট। রানের দেখা পেয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল ইসলাম শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরা। সাদমান নিজেও ফিরেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করার পর। তবে সব ছাপিয়ে টাইগার ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার ধরণ ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। সেটিও নিজেও মানছেন সাদমান।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে এক ভিডিও বার্তায় সাদমান বলেন, ‘আমাদের নিজেদের ঘাটতির কারণে সমস্যাটা হয়েছে, উইকেটগুলো পড়েছে। সাকিব ভাই ও লিটন খুব ভালো ব্যাটিং করতেছে, বুঝে উঠতে পেরেছে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়। আশা করি কালকে এই সমস্যাটা ফেস করতে হবে না।’
তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১৫৪ বলে ৫৯ রানের একটি ইনিংস উপহার দেন সাদমান। ৩৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে চার মেরেছেন ৬টি। নিজের ইনিংসটি নিয়ে সাদমানের মূল্যায়ন, ‘যে রকম আশা ছিল (টিম ম্যানেজমেন্টের) আর আমার কাছ থেকে, আমি যতটা পারছি সেরাটা চেষ্টা করছি। আরও বড় (ইনিংস) করতে পারলে ভালো হতো। আমি মনে করি চেষ্টা করেছি টিমের জন্য কিভাবে এফোর্ট দেওয়া যায়। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করেছি। খুব ভাল লাগছে।’