ঘুরে আসুন

মনিপুরের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে মনিপুরকে ভারতের সুইজারল্যান্ড হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রকৃতিপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা এটি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মনিপুর প্রদেশ মনোমুগ্ধকর পাহাড়ে পরিপূর্ণ। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু মনিপুরকে ‘ভারতের সোনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশ থেকে মনিপুরে বিমানের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। বলছি মনিপুরের সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে-

১. ইমফাল

মনিপুর প্রদেশের রাজধানী ইমফাল। শহরটি মনিপুর উপত্যকার কেন্দ্রে অবস্থিত। পাহাড়ি ও সমতল রাস্তা দ্বারা পরিপূর্ণ ইমফাল শহর। এই শহরে লোকটাক হ্রদ, কাংলা কেল্লা, সিরহী ন্যাশনাল পার্ক, কেইবুল ল্যাম জাও ন্যাশনাল পার্কসহ আরও অনেক উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিশেষ করে শহরটির প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে কাংলা কেল্লা অধিক জনপ্রিয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে জনপ্রিয় স্থাপনা লেয়ারেম্বি মন্দির এই শহরেই অবস্থিত।

২. উখরুল

ছবির মতো শহর উখরুল। নিসর্গের প্রেমে আচ্ছন্ন মানুষ শহরটিতে ভ্রমণ করেন। বিমানের মাধ্যমে উখরুল শহরে ভ্রমণ করা যায়। শহরটিতে রয়েছে উপত্যকা, পাহাড় ও জলপ্রপাত। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খায়াং পিক, সিড়িউই কাসুং পার্ক, কাচুওউফুং হ্রদ, খাংখুই গুহা। উখরুল শহরে ব্যাপক জনপ্রিয় কলেজ হলো পেত্তিগ্রিউ কলেজ, সেনটিনেল কলেজ ও সেন্ট জোসেফ কলেজ। এই শহরের অধিকাংশ মানুষ কৃষির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।

৩. বিষ্ণুপুর

মন্দিরের জন্য বিখ্যাত বিষ্ণুপুর শহর। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শহরটি পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। মনিপুরের প্রাচীন শহর বিষ্ণুপুরে মন্দিরের পাশাপাশি রয়েছে আশ্রমও। জোড়বাংলা মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির, শ্যামরাই মন্দির, সিদ্ধেশ্বর মন্দির, রাধাশ্যাম মন্দির, শ্রীধারা মন্দির উল্লেখযোগ্য স্থান। বিশেষ করে শহরটিতে পঞ্চদশ শতকে নির্মিত বিষ্ণু মন্দির রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে স্থানটি অনেক পবিত্র। কৃষিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই শহর।

৪. থাওবাল

নদী ও পাহাড়ের শহর থাওবাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পরিচিত। সবুজাভ শহর হিসেবে বিশ্বে শহরটির সুনাম রয়েছে। এই শহরে খেলাধূলার অনেক সুযোগ রয়েছে। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য থাওভাল নদী, ইমফাল নদী, ইকোপ হ্রদ, ওয়াইথোউ হ্রদ, লুসি হ্রদ। শহরটি ব্যাপক জনপ্রিয়। মূল আকর্ষণ শিংগা লেয়ারেম্বি মন্দির। এছাড়া থাওবাল জেলা ইনডোর স্টেডিয়াম ও থাওবাল চাওয়াইমা লাম্পাক-এ খেলাধূলার সুযোগ রয়েছে।

৫. সেনাপতি

পাহাড় ও নদনদীবেষ্টিত শহরের নাম সেনাপতি। শহরটিতে রয়েছে ঘন অরণ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় এই শহরে জুকো উপত্যকা, ম্যাখেল গুহা ও সাদু চিরু জলপ্রপাত রয়েছে। শহরটিতে ৬০ শতাংশ সমতল ভূমি ও ৪০ শতাংশ আবাদী ভূমি রয়েছে। এই শহরের অধিকাংশ মানুষের পেশা কৃষি। পাহাড়ঘেঁষা শহর হিসেবে পরিচিত শহরটি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কাছে অনেক পছন্দের। পাহাড়প্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষকে এই শহরে বেশি ভ্রমণ করতে দেখা যায়।

Related Articles

Back to top button