মনের ইচ্ছা পূরণের দোয়া
মনের ইচ্ছা পূরণের দোয়া: প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন । আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে মনের ইচ্ছা পূরণের দোয়া আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, তাই মনোযোগ দিয়ে পুরো লেখাটি পড়ুন!
এক নজরে দেখে নিন
মনের ইচ্ছা পূরণের দোয়া
গলায় তাবিজ ঝুলিয়েছেন। পীরের পা ধোয়া পানি খেয়েছেন। অনেক কষ্টে অনেক সাধন করেছেন। সব কিছু থেকে বিফল হয়ে নিরাশ হয়ে পড়েছেন। অথচ এটা ভাবেননি যে, মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কী বলেছেন?
দুনিয়াতে আমলি জীবন যাপনই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আল্লাহ মানুষকে ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আর আমল ও দোয়ার মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব হয়। আল্লাহ সে বান্দাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন যারা তার কাছে চায়। আর যারা চায় না তাদের উপর অসন্তুষ্ট হোন। তাই কল্যাণের যে কোনো কিছু আল্লাহর থেকে চেয়ে নেয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হয়। আল্লাহ বান্দার উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত জিনিস দান করেন।
আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করে। যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকন্ঠিত। -(সুরা মাআরিজ আয়াত : ১৯-২০)।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া
আল্লাহতায়ালা বলেন, যদি তোমাদের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়া না থাকত, (তা হলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে) আর নিশ্চয়ই আল্লাহ অধিক তাওবা গ্রহণকারী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নুর আয়াত : ১০)
অভাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে চাইতে হবে। আর আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রার্থনা ফিরিয়ে দেন না।
আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের রব বলেছেন— ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয়ই যারা অহঙ্কার বশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে। -(সুরা গাফির আয়াত: ৬০)।
হাদিসে রয়েছে- একবার হজরত আনাস (রা.) রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করল এবং নিচের এ দোয়াটি পাঠ করল-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তুমি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।
মনের ইচ্ছা পূরণের উপায়
- সে যে দোয়া করেছে, হুবহু তা কবুল করে দুনিয়াতে দেওয়া হয়।
- তার দোয়ার প্রতিদান পরকালের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
- দোয়ার মাধ্যমে তার অনুরূপ কোনো অমঙ্গলকে তার থেকে দূরে রাখা হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১১১৩৩)
ইচ্ছা পূরণের সূরা কোনটি
প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পড়ার একটি উপকারিতা হল আমাদের ইচ্ছা পূরণের জন্য। যেমন নবী মুহাম্মদ বলেছেন “যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহতায়ালা তার সমস্ত চাহিদা পূরণের জন্য দায়ী থাকবেন।”
আমরা যখন প্রতিদিন সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করি তখন আমরা যে সাহায্যের প্রয়োজন তা পাব, সর্বদা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে এবং কোন কিছুকে পথে বাধা না দিয়ে বা আল্লাহ আমাদের ইচ্ছা পূরণ করবেন কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ করবেন না। আপনার ইচ্ছা পাওয়ার চাবিকাঠি সর্বদা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে বের হওয়ার দোয়া
আপনি যদি এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার একটি মন্তব্য আমাদের অনেক উৎসাহ দেয়। আশা করি আপনারা আজকের পোস্ট: মনের ইচ্ছা পূরণের দোয়া পড়ে পুরো বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করার জন্য!