মরুর বুকে বিলাসবহুল রিসোর্ট
মরুর দেশ সৌদি আরবের বুকে নির্মিত হচ্ছে নতুন বেশ কিছু বিলাসবহুল রিসোর্ট। নাবোতিয়ান সাম্রাজ্যের স্থাপত্য ঘিরে দেশটির উত্তর-পশ্চিমের আলউলা মরুভূমিতে নির্মিত হচ্ছে এসব রিসোর্ট। ২০২৩ সালের মধ্যে এই মরুভূমিতে নতুন ভূগর্ভস্থ রিসোর্ট দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।
আলউলায় শারান রিসোর্টের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। রিসোর্টটির নকশা প্রণয়ন করেছেন ফরাসি স্থপতি জিন নউভেল। তিনি বলেছেন, এই রিসোর্ট সৌদি আরবের প্রাচীন স্থাপত্য ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মানসে তৈরি করা হচ্ছে। এতে ৪০টি অতিথি সম্মেলনকেন্দ্র ও তিনটি রিসোর্ট ভিলা থাকবে।
এক বিবৃতিতে স্থপতি জিন নউভেল বলেছেন, প্রত্যেকটি পাহাড় ও তার ব্যাপ্তি, যেকোনো কিছুর ভাবনা এবং সর্বোপরি যে কোনো ভৌগোলিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য স্বীকৃতির প্রয়োজন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক গৃহীত সৌদি আরবের পাঁচটি ঐতিহ্য স্থানের মধ্যে আল উলা মরুভূমি অন্যতম। নাবোতিয়ানদের আমলে নির্মিত জর্ডানের পেত্রানগরী এই মরুভূমিতে অবস্থিত।
সৌদি আরব যে সময় পর্যটন শিল্পে উন্নতির স্বপ্ন দেখছে সেই সময় তাদের অনুকূলে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলনির্ভর অর্থনীতির এই দেশটির পর্যটন শিল্প তেমন উন্নত নয়। তবে বর্তমানে সৌদির ক্ষমতাসীন রাজপরিবার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তেলনির্ভরতা কাটাতে চায়।
পর্যটন খাতে বিনিয়োগের ফলে শুধু তেলের ওপর নির্ভরশীলতাই কমবে না বরং দেশীয় অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য এবং বিশ্বে সৌদি আরবের স্বকীয় পরিচয় তুলে ধরা যাবে বলে মনে করে রিয়াদ কর্তৃপক্ষ।
শারানের পাশাপাশি রেড সি প্রজেক্ট ও তায়েফ শহরে মাউনটেইন রিসোর্ট প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। এছাড়াও কিদিয়া নামে আর একটি পার্ক বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। সৌদি রয়্যাল কমিশন বলছে, নিজেদের অর্থায়নে এসব প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে।