মেদ কমাতে এই ৩ উপায়ে ডিম খান
পুষ্টিকর খাবার ডিম। সহজলভ্য এবং রান্নাও ঝামেলাহীন বলে প্রায় সবাই প্রতিদিন ডিম খেয়ে থাকেন। নানারকম সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায় ডিম দিয়ে। অনেকে মনে করেন, ডিমের কুসুম আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সঠিক নয়। বরং আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে ডিমের কুসুম।
ডিম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থেকে যদি ডিম না খান তবে আপনি ভুল করছেন। কারণ ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ডিমের ভূমিকা নেই। ডিমের সঙ্গে অতিরিক্ত তেল-মশলা মিশিয়ে খেলে সে কারণে ওজন বাড়তে পারে। তাই বাড়তি মেদের ভয়ে ডিম থেকে দূরে থাকবেন না। বরং নিয়মিত ডিম খেলে তা আপনার বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে। সেজন্য ডিম খেতে হবে বিশেষ তিন উপায়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
খেতে হবে সালাদ
খাবারের তালিকায় সালাদ রাখছেন তো? সালাদ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। সেই সালাদে ডিম যোগ করলে তার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যাবে। টমেটো, শশা, গাজর, ক্যাপসিকাম কিংবা যেকোনো সবজির সালাদে যোগ করুন সেদ্ধ ডিম। স্বাদ বাড়াতে তার সঙ্গে মেশান লেবুর রস ও গোল মরিচ। এভাবে ডিম খেলে পুষ্টি তো পাবেনই পাশাপাশি শরীরের বাড়তি মেদও ঝরবে সহজে।
পুষ্টি দেবে পানি পোচ
ডিম পোচ হিসেবে পরিচিত খাবারটি আসলে ডিম ফ্রাই। কারণ ডিম পোচ তেলে করতে হয় না, পানিতে করতে হয়। পানিতে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ডিম ভেঙে দিলেই তৈরি হবে স্বাস্থ্যকর পানি পোচ। সেজন্য প্রথমে পরিষ্কার পাত্র নিয়ে তাতে পর্যাপ্ত পানি ঢালুন। এবার তাতে মেশান সামান্য ভিনেগার। পানি যখন ফুটে উঠবে তখন তাতে ডিম ভেঙে ছেড়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর সাবধানে ডিমটি তুলে নিতে হবে। এভাবে খেলে ডিমের প্রায় সবটুকু পুষ্টিগুণ পাবেন। দূর হবে বাড়তি মেদও।
ডিম ও ওটমিল একসঙ্গে খান
উপকারী খাবার হিসেবে পরিচিত হলো ওটমিল। কারণ ওটমিল খেলে তা আমাদের শরীরে পাচনমূলক অ্যাসিড ক্ষরণে বাধা দেয়। ফলে ওটমিল খেলে বারে বারে ক্ষুধা পাওয়ার সমস্যা বন্ধ হয়। ওটমিলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে খেতে পারলে পুষ্টিগুণও বেড়ে যাবে। আমাদের শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে বাধা দেয় ওটমিল। এদিকে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের যোগান দেয় ডিম। তাই ডিম ও ওটমিল একসঙ্গে খেতে পারলে মেদ বাড়ার ভয় থাকবে না।