মোবাইল সেবার মান যাচাইয়ে ড্রাইভ টেস্ট শুরু
দেশের ৩০০ উপজেলায় মোবাইল সেবার ভয়েস কল ও ডাটা সেবার মান যাচাইয়ে ড্রাইভ টেস্ট শুরু হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ভয়েস কল ও ডাটা সেবার মান নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রধান সম্মেলন কক্ষে ছয় মাসব্যাপী এ ড্রাইভ টেস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
এসময় প্রযুক্তি ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাহককে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রাহক স্বার্থের সঙ্গে কোনো আপস না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন বলেন, ড্রাইভ টেস্টের গোপনীয়তা বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। তাই তথ্য যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. শহীদুজ্জামান ড্রাইভ টেস্টের প্রতিবেদন সবার জানার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশের কথা জানান।
কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ড্রাইভ টেস্ট যাতে কেবল আনুষ্ঠানিকতা না হয়ে গ্রাহকের স্বার্থ নিশ্চিত হয় সেদিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি ফলোআপ অব্যাহত রাখতে হবে।
কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রাহকের বাস্তব অভিজ্ঞতাকে প্রাধ্যান্য দিয়ে গাইডলাইন বা রেগুলেশন তৈরি হয়। তাই গ্রাহক অভিজ্ঞতার আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির জানান, বেশি গ্রাহকের অপারেটরদের মাসিক কলড্রপের পরিমাণ গড়ে ৫ থেকে ৬ কোটি।
তিনি বলেন, রেগুলেশনে দৈনিক একের অধিক কলড্রপের জন্য প্রতি মিনিট ফেরত দেওয়া এবং গ্রাহককে তা এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে। নতুন করে চারটি ড্রাইভ টেস্ট সেট কেনার পাশাপাশি টেলিকম মনিটরিং সেন্টার (টিএমএস) চালু হলে অপারেটররা সেবার মান বাড়াতে বাধ্য হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কল সাকসেস রেট ৯৭ ভাগ অথবা তার বেশি হওয়া, কলড্রপ দুই ভাগের কম থাকা এবং কল সেটআপ টাইম ৭ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে থ্রিজি ডাটার ন্যূনতম গতি ২ এমবিপিএস এবং ফোরজি ডাটার গতি ন্যূনতম ৭ এমবিপিএসের কথা উল্লেখ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়া এই ড্রাইভ টেস্ট চলবে ছয় মাস। আর এতে লজিস্টিকস সহায়তা দিবে কার্যাদেশ পাওয়া প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ড্রাইভ টেস্টের ফলাফলে কোনো ব্যত্যয় থাকলে অপারেটরদের তা জানানো হবে এবং সেবার মান কতটা উন্নত হয়েছে তা পরবর্তীতে যাচাই করা হবে।
কমিশনের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসাইন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে তথ্য জানার জন্য গ্রাম অঞ্চলে বেশি ড্রাইভ টেস্ট চালানোর মতামত দেন।
ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রত্যন্ত অঞ্চলে অপারেটরদের সেবার মান যাচাইয়ের পরামর্শ দেন এবং অগ্রগতি যাচাইয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।