যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক সাইবার হামলা খতিয়ে দেখা হচ্ছে
সাইবার হামলার শিকার হয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। বৃহস্পতিবার মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা তাদের সফটওয়্যারের ভেতরে অপরিচিত কিছু সফটওয়্যার পেয়েছে।
একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ও সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।
সাইবার হামলার ঘটনায় রাশিয়া জড়িত রয়েছে বলে অনেকে অনুমান করছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সাইবার হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সাইবার হামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানায়, তারা সাইবার ডোমেইন ব্যবহার করে বেআইনি কাজে লিপ্ত নেই।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং অর্থ ও বাণিজ্য- এই চারটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য সম্পর্কে খুব ভালো করে জানে সাইবার হামলাকারীরা।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাট দলের বিজয়ী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার প্রশাসনের প্রধান অগ্রাধিকার যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।
সম্প্রতি এই সাইবার হামলার পর তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তায় সবার আগে প্রয়োজন আমাদের শত্রুদের বিপর্যস্ত করা। আমরা এখন অনেক কিছুই জানি না, কিন্তু আমরা যা জানি সেটাই আমাদের বিবেচ্য বিষয়’।
তবে দেশটির শীর্ষ সাইবার সংস্থা ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার এজেন্সি’ (সিসা) বৃহস্পতিবার এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার নিরাপত্তা দেয়া এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এর মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামোর দুর্বলতা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সর্বপ্রথম হামলার ঘটনা ঘটে চলতি বছরের মার্চে।
তবে সেই সাইবার হামলার ফলে কি ধরনের তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
টেক্সাসভিত্তিক আইটি কোম্পানি সোলার উইন্ডসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সাইবার হামলা করা হচ্ছে এবং বিষয়টি নিয়ে সিসা অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে মাইক্রোসফট এও জানিয়েছে যে, সাইবার হামলার শিকার হতে পারেন এমন আরও ৪০ জনের বেশি ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করে রেখেছে তারা। কোম্পানিটির প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ জানান, মাইক্রোসফটের ওপর এই সাইবার হামলা অনভিপ্রেত।