নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বর্তমান জটিল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার যোগ্যতা নেই, দক্ষতা নাই, সক্ষমতা নাই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তার গুণধর পুত্র তারেক জিয়ার। তারা দুইজনই অযোগ্য। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত আসামি। তারেক রহমান ২১ আগস্ট ও মানি লন্ডারিং মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সুতরাং এ ব্যাপারটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ। নির্বাচনে যাওয়ার পথও তাদের নেই।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
শেখ পরশ বলেন, আজকের এই পর্যায়, এই মধ্যম আয়ের দেশ পরিচালনা করতে যেই যোগ্যতা লাগে বিএনপির তা নেই। তারা এ দেশকে ধ্বংস করার এজেন্ডা হাতে নিয়েছে। ভেবেছে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু বিদেশি প্রভুরা বলে দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে তাদের বলার কিছু নাই, তারা হস্তক্ষেপ করবে না।
তিনি বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। যুবলীগের কর্মী হিসেবে আমাদের জন্য নেত্রীর সমাবেশ সফল করার সুযোগ এবং তার দিকনির্দেশনা সম্পন্ন বক্তব্য শুনতে পারা পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার বলে আমরা মনে করি। তাই তার এই সমাবেশটি সফল করার লক্ষ্যে আমরা আওয়ামী যুবলীগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
যুবলীগের চেয়ারম্যান আরও বলেন, এই সুধী সমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এই সমাবেশে শক্তি প্রদর্শন এবং জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা বিরোধী শক্তিকে জানাতে চাই যে, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ থাকবে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী যুবলীগের দখলে। তাই সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে এই সমাবেশে যোগদান করার প্রস্তুতি আজ থেকেই আপনারা নেবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদাসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।