রেকর্ড গড়ে সিরিজ বাঁচাতে হবে বাংলাদেশকে
ক্রিকেটকে অনেকেই বলে থাকেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। চট্টগ্রাম টেস্টে রেকর্ড গড়েই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার জবাবটা দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। সিরিজ বাঁচাতে মিরপুর টেস্ট রেকর্ড গড়েই জিততে হবে টাইগারদের।
বাংলাদেশ দলের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ স্বস্তির শ্বাস নিচ্ছেন হয়তো, এদিকে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার রাকিম কর্ণয়েলের প্রত্যাশা পূরণ হলো না। দুই ম্যাচ টেস্টের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে মিরাজ জানান, দ্বিতীয় ইনিংসে উইন্ডিজকে ১৫০ থেকে ২০০ রানের মধ্যে আটকাতে চায় তারা। এতে ৩০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা যাবে।
চট্টগ্রাম টেস্টের স্মৃতি মাথায় নিয়ে সাবধানী বার্তা ছিল কর্ণয়েলের। দলকে সুরক্ষার জায়গায় রাখতে লিডটাকে ৪০০ পর্যন্ত টানার কথা জানিয়েছিলেন ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার এই ক্রিকেটার। তবে সফলই বলতে হবে মিরাজদের। লক্ষ্যের আগেই অল-আউট করা গেছে উইন্ডিজকে। এতেও আতঙ্ক কম নয় স্বাগতিক শিবিরে। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে তাইজুল, নাঈমরা উইকেট থেকে যেমন সাহায্য পেয়েছেন, তাতে ক্যারিবীয় স্পিনাররাও যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন, সেটি জোর দিয়ে বলা যায়।
মিরপুর মাঠে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে সর্বোচ্চ রান টপকে জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের। ২০১০ সালে টাইগারদের দেওয়া ২০৯ রান তাড়া করে জিতেছিল সফরকারীরা। এবার বাংলাদেশকে ২৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে উইন্ডিজ। এই রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়ে সিরিজ বাঁচাতে গেলে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের।
আগের ১১৩ রানের লিডের সঙ্গে ৯৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষ করে উইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় সেশনে ফিরে তাদের একেবারেই সুবিধা করতে দেননি টাইগার স্পিনাররা। মাত্র ২৯ বলে পরের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল, নাঈমরা। ফলে ১১৭ রানে অল আউট হয়ে যায় উইন্ডিজ। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩১ রানের। পরের ৪ ব্যাটসম্যানের দুইটি শিকার করেছেন তাইজুল, দুইটি নাঈমের ভাগে।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট তাইজুলের। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস এসেছে বোনারের ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
উইন্ডিজ: ৪০৯ ও ১১৭ (বোনার ৩৮, জশুয়া ২০*; তাইজুল ৪/৩৬)
বাংলাদেশ: ২৯৬ (লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪; কর্নওয়েল ৫/৭৪)