শিশুকে করোনাভাইরাস থেকে দূরে রাখতে যা করবেন
করোনাভাইরাস পুরো পৃথিবীর চিত্র ওলট-পালট করে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এর প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বের মানুষের ওপরেই। ভুক্তভোগীর তালিকা থেকে বাদ যায়নি শিশুদের নামও। শিশুরা তো আর বড়দের মতো সচেতন হতে পারে না। কোনটা তার জন্য ভালো, কোনটা খারাপ এটুকু বোঝার মতো বয়সও তাদের হয়নি। এক্ষেত্রে বড়দের দায়িত্ব হলো শিশুকে সচেতন করা।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে শিশুকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা উচিত। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস আমাদের জন্য কতটা ভয়ংকর, আতঙ্ক না বাড়িয়ে সেটি তাকে বুঝিয়ে বলুন। এমনভাবে বলুন যেন সে সহজেই বুঝতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন নতুন খবর মিলছে প্রতিদিন। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিশুদের বাইরে হয়তো বের হতে হচ্ছে নানা কারণে। তাই অভিভাবককে থাকতে হবে বাড়তি সতর্ক। শিশুকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে কিছু করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন-
নিয়ম মেনে হাত ধোয়া
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয়গুলোর একটি হলো নিয়মিত হাত ধোয়া। তবে যেমন-তেমনভাবে হাত পরিষ্কার করলে কিন্তু হবে না। হাত ধোয়ারও আছে সঠিক নিয়ম। সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম মেনে পরিষ্কার করলেই কেবল হাত জীবাণুমুক্ত হবে। অন্তত বিশ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে কচলে হাত পরিষ্কার করতে হবে। হাতের দুই পিঠ, আঙুলের খাঁজ পরিষ্কার করতে হবে ভালোভাবে। শিশুকে হাত পরিষ্কারের এই পদ্ধতি শিখিয়ে দিন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা
শিশু বাইরে কোথাও গেলে বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করাতে হবে। জীবাণুমুক্ত থাকতে এটি তার জন্য কেন জরুরি তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার শিশুর নাগালের মধ্যে রাখবেন না। আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে ব্যবহার করার পর তাকে কখনোই আগুনের কাছে যেতে দেবেন না।
খেলার সঙ্গীর জ্বর হলে
শিশু যাদের সঙ্গে খেলা করে বা মেলামেশা করে তাদের কারও জ্বর হলে বা করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তার থেকে দূরে থাকতে বলুন। এতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় অনেকটা কমবে। শিশু যেন এই সময় কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখুন
শিশু সারাক্ষণ বাড়িতে থাকলেও তাকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই। বাড়ির সব আসবাবপত্র পরিচ্ছন্ন রাখুন। মেঝে, দেয়াল, বাথরুম পরিষ্কার করুন জীবাণুনাশক দিয়ে।
মাস্ক পরার গুরুত্ব
শিশুকে মাস্ক পরার গুরুত্ব বুঝিয়ে বলুন। এটি তাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে সে বিষয়েও জানান। হাঁচি-কাশির সময় তাকে মুখে মাস্ক পরে থাকতে বলুন।