শীতের শেষে খাবারের ধরন
শীত বিদায় নিচ্ছে। প্রকৃতিতে একটু করে লাগতে শুরু করেছে বসন্তের ছোঁয়া। বাতাসজুড়ে আমের মুকুলের ঘ্রাণ সেকথাই জানান দিচ্ছে যেন। শীত এবার পড়েছিল বেশ জাঁকিয়ে। তাই গরমের দাপটও দেখা যেতে পারে। শীতের সময়ে রান্না-খাওয়ায় যেমন আরাম, গরমে ততটা থাকে না। তাই গরমের সময়ে খাবারের বিষয়ে একটু বেশি সচেতন হতে হয়। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে খাবারে একটু অনিয়ম হলেই দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ম মেনে খেতে হবে। বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দূরে থাকতে হবে সবরকম অসুখ থেকে। কারণ এখন অসুস্থতা মানেই বাড়তি ভয়।
পানি পান করতে হবে
পানি পানের বিকল্প নেই। হোক তা শীত কিংবা গরমে। আমাদের শরীরে সব সময়েই পানির চাহিদা থাকে। শীতের সময়ে অনেকে অলসতা করে কিংবা ঠান্ডার ভয়ে পানি পান করতে চান না। এরকমটা একেবারেই করা যাবে না। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। গরম পড়তে শুরু করলে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। সেই পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। আপনার ঠিক কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন। চেষ্টা করুন দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করার।
মশলার ব্যবহার
শীতে নানা মশলাযুক্ত খাবার খেয়েছেন, গরম বলে সেসব মশলার ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন না। নানা রকম মশলা খাবারে শুধু স্বাদ ও গন্ধই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে নানা উপকারও করে। প্রতিদিনের রান্নায় পরিমিত হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনে, আদা, রসুন, গরম মশলা ইত্যাদি ব্যবহার করুন। সকালে উঠে খালি পেটে মৌরি ভেজানো পানি পান করতে পারেন। এতে হজমের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। তবে রান্না যেন অতিরিক্ত তেল-ঝোল সমৃদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ অতিরিক্ত মশলাদার খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ফল ও সবজি
এসময় বাজারে প্রচুর ফল ও সবজির দেখা মেলে। মৌসুমী সেসব ফল ও সবজি রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। ফল আস্ত খাওয়ার চেষ্টা করুন। নয়তো কেটে, জুস করে কিংবা সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন। সবজি সেদ্ধ, সালাদ কিংবা তরকারি রান্না করে খেতে পারেন। কদিন পরে বাজারে পাওয়া যাবে কাঁচা আম। কাঁচা আমের শরবত শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়াও এই সময়ে নানারকম শাক পাওয়া যায়, সেসব পাতে রাখুন। লাউ, ঝিঙে, শসা, পটল এসবও খান নিয়মিত। আপনার সুস্থতার দিকে নজর রাখতে হবে আপনাকেই।