সাজতে মন চাইছে না?
কোনো কোনো দিন উপলক্ষ ছাড়াই সাজতে মন চায়। আবার এমনও দিন আসে যেদিন দাওয়াত কিংবা পার্টি থাকার পরেও সাজগোজের ইচ্ছেটা থাকে না। দেখা গেল আপনি অফিস থেকে বাসায় ফিরে কখন বিছানায় গা এলিয়ে দেবেন সেই অপেক্ষায় আছেন, এদিকে না গেলেই নয়- এমন কোনো দাওয়াত আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন? নিশ্চয়ই ক্লান্ত চেহারা নিয়ে পার্টিতে উপস্থিত হতে চাইবেন না! এক্ষেত্রে ঢিলেঢালা পোশাক ও হালকা সাজেই হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা।
ঢিলেঢালা টপস
খুব জমকালো কিছু পরার ইচ্ছে না থাকলে সেদিকে নজর না দেয়াই ভালো। বরং পোশাকের সংগ্রহশালা থেকে বেছে নিন হালকা কোনো টপস। তার সঙ্গে সুন্দর ফিটিংয়ের জিন্স পরতে পারেন। পায়ে গলিয়ে নিন আরামদায়ক ও স্টাইলিশ জুতা। ব্যস, পোশাক নিয়ে আর ভাবতে হবে না। আপনার সংগ্রহে নিশ্চয়ই নানা রঙের টপস রয়েছে?
রুপার গয়না
টপসে যেহেতু তেমন কোনো বৈচিত্র্য নেই তাই চমক আনতে পারেন গয়নায়। অক্সিডাইজড রুপার গয়না আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। কানে আর গলায় চোখ ধাঁধানো ভারী গয়না পরতে পারেন, যদি আপনার সংগ্রহে তেমন গয়না থাকে। আবার একটি রঙিন ও জমকালো স্কার্ফ পরেও সাধারণ পোশাককে অসাধারণ করে তুলতে পারেন।
মুখের সাজ
মুখ যেন ভালোভাবে ময়েশ্চরাইজ করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। খসখসে মুখ নিয়ে দাওয়াতে গেলে দেখতে নিশ্চয়ই ভালোলাগবে না? ঠোঁটে পরুন ন্যুড কোনো লিপস্টিক। চোখে হালকা করে কাজল, সম্ভব হলে আইলাইনারও টানুন। বেশি সাজতে মন চাইলে তো কথাই নেই, তবে অল্প সাজতে চাইলে এটুকু সামঞ্জস্য থাকা জরুরি।
রঙিন স্কার্ট
হাতে খানিকটা সময় থাকলে বেছে নিতে পারেন রঙিন কোনো স্কার্ট। এতে আপনাকে দেখতে আরও বেশি ফ্যাশনেবল লাগবে। সেইসঙ্গে চোখে হালকা শ্যাডো, গালে ব্লাশনের সামান্য ছোঁয়া থাকতে পারে। এর সঙ্গে লিপস্টিকের ক্ষেত্রে হালকা কোনো রং বেশি মানাবে। এমন সাজে সবার ভেতরে আপনাকে দেখতে ঠিক প্রজাপতির মতো লাগবে।
চুল বাঁধার ধরন
আপনি যদি ক্লান্তি অনুভব করেন তবে চুল খোলা রাখবেন না। তাতে আপনাকে আরও বেশি বিধ্বস্ত লাগবে। এরচেয়ে এমনভাবে চুল বাঁধুন যেন চুলগুলো গোছানো থাকে এবং দেখতেও সতেজ লাগে। সবগুলো চুল পেছনে টানটান করে বেঁধে নিতে পারেন পনিটেইল। এতে আপনাকে দেখতে আরও বেশি স্টাইলিশ লাগবে।