চাঁদপুর শহর যানজট নিরসনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শামীম মিজি

দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদপুর শহরে যানজটের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এ যানজট থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হলেও কোন কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে চাঁদপুর কালিবাড়ি (শপথ চত্বর) সিএনজি স্টেশনের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে মোঃ শামীম মিজি প্রায় দীর্ঘ ৬ বৎসর পূর্ব থেকে যানজট নিরসনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

শামিম মিজি বর্তমানে চাঁদপুর জেলা সিএনজি ২৫০৩ শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক, চাঁদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, চাঁদপুর কালিবাড়ি সিএনজি স্টেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। এর মাঝেও তিনি পথচারি দুর্ভোগ লাগবে বেশ ভূমিকা পালন করেছেন।

মো: শামিম মিজি, তিনি নিজের খরচে নিজের পরিশ্রমে ও ট্রাফিকসহ আরো অনেকের সহযোগিতা নিয়ে তিনি নিজেই কালিবাড়ি সিএনজি স্টেশনে লাইন মেনের কাজ করা শুরু করলেন। তিনি চাঁদপুর টাওয়ারের কাছে প্রতিটি উপজেলায় (চান্দ্রা, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও মতলব উপজেলায়) যাওয়ার জন্য ২টি করে সিএনজি পার্কিং করার ব্যবস্থা করেন।

যে সব সিএনজি ফেরত আসেন সেগুলো পুলিশ বক্সের পিছনে পাঠিয়ে দিয়ে পার্কিং করে রাখেন। পর্যায়ক্রমে আগের সিএনজি যাত্রী নিয়ে চলে গেলে সিরিয়াল মেইনটেইন করে পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর টাওয়ারে এসে উপস্থিত হন এবং যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছুটেন। নিয়ম শৃঙ্খলা মোতাবেক সিএনজির এই আসা-যাওয়া এবং পাার্কিং করার ফলে যানজট অনেকটাই লাঘব হয়েছে এবং সিএনজি ড্রাইভারও স্তস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এমনকি পূর্বে সিএনজির এলোমেলো পার্কিং এর কারনে মার্কেটে যাওয়া ক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তো। কিন্তু শামিম মিজির এমন উদ্যোগে মার্কেটের সকল মালিকরাই সন্তুষ্ট।

সিএনজি ড্রাইভার আলমাস জানান, পূর্বে তারা কালিবাড়ি যাত্রী নিয়ে এসে নামিয়ে ওখানেই পার্কিং করে রাখতেন অন্য যাত্রীর জন্য। তবে এখন তিনি যাত্রী নামিয়ে লাইনে তার গাড়ির নাম্বার লিখে পুলিশ বক্সের পিছনে অপেক্ষা করেন এবং কালিবাড়ি চাঁদপুর টাওয়ারে ঘুরে এসে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যান। এই মোটামোটি শৃঙ্খলার জন্য তার যাত্রী নিতেও কষ্ট কম করতে হয়। যাত্রীরা এখন বুঝে গেছেন কোথায় গেলে তাদের গন্তব্যে সিএনজি পাওয়া যাবে। এমন উদ্যোগকে আমি প্রশংসা জানাই।

শামিম মিজি বলেন, সিএনজি, অটো বাইক মালিক সমিতি যদি আমাকে সহযোগিতা করে তাহলে শহরের যেখানে যেখানে যানজট লেগে থাকে সেখানে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে তা নিরসন করতে পারবো।

শুধু প্রয়োজনে যানবাহনগুলোকে একটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা এবং অপ্রয়োজনীয় জায়গায় পার্কিং এর ব্যবস্থা করা। যেন কোন গাড়ি শহরের মূল রাস্তায় পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা। এসমস্ত কাজ সবার সহযোগিতা সমাপ্ত করার সম্ভব। এতে শহরবাসীরা অনেক উপকৃত হবে।

মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া

Related posts

Leave a Comment