১৪৪ বছরের ইতিহাস নতুন করে গড়লেন মেয়ার্স-বোনার
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলে শেষে পঞ্চম দিনে অপেক্ষা ছিল কত তাড়াতাড়ি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে জয় ছিনিয়ে নিবে বাংলাদেশ দল। তবে সেই অপেক্ষায় পানি ঢেলে দিয়েছেন ক্যারিবীয় দলের দুই অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স ও এনক্রমাহ বোনার। টাইগারদের জয়ের আশা ফিকে করে উল্টো নিজেরাই জয়ের দৌড়ে ছুঁটছে উইন্ডিজ।
১১০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে উইন্ডিজ। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য যেখানে ক্যারিবীয়দের দরকার ২৮৫ রান, সেখানে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ উইকেট। টেস্টের পঞ্চম দিনের উইকেট বিবেচনা ও স্বাগতিকদের স্পিন শক্তি শক্ত হওয়ায় বাংলাদেশেই বাজি ছিল বিশেষজ্ঞদের। সমর্থকরা অপেক্ষায় ছিল কত তাড়াতাড়ি বের হবে ম্যাচের ফলাফল।
রোববার টেস্টের শেষ দিনে মায়ার্স ৩৭ ও বোনার ১৫ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন। তাদের আটকানো রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলের বোলারদের জন্য। অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুই ব্যাটসম্যানকে সেট হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন টাইগার বোলারারা। তাতে দায় ছিল ফিল্ডারদের, শুরু থেকেই ক্যাচ মিসের মিছিলে নেমেছেন তারা। প্রথম সেশনের পুরোটাই রাজত্ব করে উইন্ডিজ। এতে আক্ষেপ বাড়ল টাইগার শিবিরে।
মিরাজ-তাইজুলদের শাসন করে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি তুলে নেন মায়ার্স। ১৭৮ বলে শতক হাঁকানো ইনিংসটি ১২টি চার ও একটি ছয়ের মারে সাজান তিনি। এটি উইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসে ১৪তম অভিষেকে টেস্ট সেঞ্চুরি। কম যাননি বোনারও। ১৬৪ বলে ফিফটি পূরণ করা এই ব্যাটসম্যান নিজেও ছুঁটছেন শতকের দিকে।
দুই ব্যাটসম্যানের অবিচ্ছেদ্য ২০২ রানের পার্টনারশিপ শুধু ম্যাচের সর্বোচ্চই নয়, ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে দুই অভিষিক্ত হিসেবে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মোহাম্মদ হাফিজ আর ইয়াসির হামিদ ১৩৪ রান ছিল অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি।