বাংলাদেশ

৭ বছরে উপকূল ফাউন্ডেশন

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উপকূল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ৬ষ্ঠ বছর পেরিয়ে ৭ম বছরে পদার্পন করেছে। ‘জনসেচেতনতা হোক জীবন পরিবর্তনের হাতিয়ার’ প্রতিপাদ্যে সংগঠনটি কমলাপুর রেল স্টেশনে ছিন্নমূল ও অসহায় শিশু-কিশোরদের মাঝে কেক কেটে ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন করেছে।

২০১৫ সালের এদিনে একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে উপকূল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তরুণ ও যুব সমাজের মেধা, ইচ্ছা-শক্তি, দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং তাদের সম্মিলিত প্রচেস্টায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, উপকূল সম্পর্কিত বিষয়াবলী, শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন জনসচেতনতায় স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে।

উপকূলীয় বিভিন্ন দ্বীপে তালবীজ বপন, ফ্রি-ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শীত বস্ত্র বিতরণ, করোনাকালে ফ্রি-মাস্ক বিতরণসহ নানান সচেতনতা মূলক ও সামাজিক কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালন করে আসছে। এছাড়াও ২০১৫ সাল থেকে ৭০’এর ভয়াল ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ের দিনকে ‘উপকূল দিবস’ ‘বিশ্ব উপকূল দিবস’ হিসেবে দাবি ও পালন করে আসছে সংস্থাটি।

৭ম বছরে পদার্পনের আয়োজনে অসহায় ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের মাঝে কেক কেটে পরিবেশনসহ তাদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করা হয়। এ সময়ে শিশু-কিশোররা বেলুন উড়িয়ে আনন্দ উপভোগ করে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কমলাপুর রেল স্টেশনে অসহায় ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়েই ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ ব্যাতিক্রম আয়োজন করে উপকূল ফাউন্ডেশন।

ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানে উপকূল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন জনসেচেতনতা হোক মানব কল্যাণে সমৃদ্ধির পথে। সচেতন জাতি কখনই ঠকে না; আর তাকে পরাভূত করাও অসম্ভব। এ জন্যই উপকূল ফাউন্ডেশন “সমৃদ্ধ উপকূলে মুক্তির হাসি” স্লোগানে তরুণ ও যুব সমাজকে জনসচেতনতার কাজে অংশ গ্রহন নিশ্চিত করে আত্ম-প্রত্যয়ী সমাজ গড়ার আহবান জানায়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনে ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীসহ দুই শতাধিক অসহায় ছিন্নমূল শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলো।

Related Articles

Back to top button