আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও উঠোন বৈঠক করেন। এ সময় তার উপস্থিতির সংবাদ পেয়ে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে দেখতে এবং তার সাথে কুশল বিনিময় করতে ছুটে আসেন। অনেকেই তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার সফলতা কামনা করেন। বয়স্ক নারী-পুরুষ তার মাথায় স্নেহমাখা হাত রেখে আন্তরিক দোয়া ও আশীর্বাদ প্রদান করেন। তার প্রতি মানুষের এমন আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখে মেয়র প্রার্থী জুয়েল আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি উন্নয়নের প্রতীক নৌকার বিজয় সুনিশ্চিতে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী সাথে নিয়ে পুরাণবাজার লোহারপুল এলাকায় পেঁৗছলে তাকে দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বাগত জানান এবং নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের কাছে ভোট কামনা করেন। এরই মাঝে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারণায় যানজটের সৃষ্টি হয়। মেয়র প্রার্থী জুয়েল পথচারীসহ যানচলাচলে যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্যে দলীয় কর্মীদের বারবার সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, মানুষের অসুবিধা হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। তিনি নিজে সমর্থকদের সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেন। তার এ আচরণে উপস্থিত মানুষজন ব্যাপক সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
গতকাল প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ভোটারের বাসস্থান ২নং ওয়ার্ডের নতুন রাস্তা, কবরের স্থান, আইল্লার বিল, মাদ্রাসা রোড, খালের দক্ষিণ পাড়, পশ্চিম শ্রীরামদী, ঘোষ পাড়াসহ হরিসভা এলাকাসমূহে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাসহ কয়েকটি স্থানে উঠোন বৈঠক করেন। দুপুরে হরিসভা এলাকায় শত শত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে উঠোন বৈঠকে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। ছোটবেলা থেকেই অসামপ্রদায়িক চেতনা নিয়ে বড় হয়েছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে মানুষকে ভালোবেসেছি। আর সেজন্যেই অসামপ্রদায়িক চেতনা নিয়ে গড়ে ওঠা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি।
তিনি নৌকা প্রতীককে দেশের উন্নয়নের প্রতীক আখ্যা দিয়ে বলেন, যখনই নৌকার বিজয় হয়, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয় তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এ নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র পদে প্রার্থী করেছেন। আমি আপনাদের স্নেহ-ভালোবাসা ও সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনারা আগামী ২৯ মার্চ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এ নৌকা প্রতীকে আপনাদের সুচিন্তিত রায় প্রদান করে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। আমি নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর মতামতের ভিত্তিতে পৌর উন্নয়নে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করব এবং যানযটমুক্ত সকল সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আধুনিক পৌরসভা উপহার দিতে চেষ্টা করবো।
পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেঙ্রে সহ-সভাপতি বিমল চৌধুরীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাধা গোবিন্দ গোপ, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, বিশিষ্ট চিকিৎসক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অজয় কুমার ভৌমিক, অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, হাসান ঈমাম বাদশা, পৌর নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, মোঃ মালেক শেখ, হরিসভা মন্দির কমপ্লেঙ্রে সাধারণ সম্পাদক উমেষ চন্দ্র সাহা, পুরাণবাজার লোকনাথ মন্দির ও আশ্রম পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কার্তিক চন্দ্র সাহা, হরিসভা মন্দির কমপ্লেঙ্রে শম্ভুনাথ সাহা, বাদল পোদ্দার, অনন্ত চক্রবর্তী, ডাঃ সহদেব দেবনাথ, কার্তিক চন্দ্র সরকার, টুটন বনিক, মহাদেব দত্ত, মনতোষ সাহা মনা, বিশ্বনাথ বনিক, ডাঃ প্রদীপ দেবনাথ, জেলা পূজা পরিষদ নেতা লিটন সাহা, রঞ্জিত সাহা মুন্না, নেপাল সাহা, তাপস চন্দ্র রায়, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর খন্দকার, কামাল হাওলাদার, শাহাদাত হোসেন পাটওয়ারী, মোঃ নজরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।