পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বার্সার সাবেক সভাপতি
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় এক পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ক্লাবটির সাবেক সভাপতি জোসেফ মারিও বার্তেমেও, প্রধান নির্বাহী ওস্কার গ্রেউ, রোমান গোমেজ পন্তিকে। বার্সাগেট কেলেঙ্কারির তদন্তের অংশ হিসেবে বার্সেলোনায় অভিযান চালানো হয়েছে।
তোপের মুখে গত বছর বার্তেমেও ও তার বোর্ড পরিচালকরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সোমবার ক্লাবে প্রবেশ করে পুলিশি অভিযানের কথা স্বীকার করেছে ক্লাবটি। যেখানে বার্তেমেও ও প্রধান নির্বাহী ছাড়াও একসময় তার ডান হাত জাউমি মাসফেরারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বার্সেলোনায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে পুলিশের এই অভিযান চালানো হলো। পুলিশ জানিয়েছে, ‘প্রশাসনিক কাজে অসচ্ছতা, একে অপরের সঙ্গে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগে বার্তামেওকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত প্রায় এক বছর ধরেই বার্সা গেট ইস্যুতে তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। বরাবরই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন বার্তামেও।
আলোচিত ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্তের শুরুতেই প্রেপ্তার হলেন তারা। দুর্নীতি ও বিতর্কিত কাণ্ডে মারিও বার্তেমেও এবং তার পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগ করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ২০১৭ সালে ন্যু ক্যাম্পে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আইথ্রি নামের এক গণসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেন। বার্সা কিংবদন্তিদের নামে অপপ্রচার চালানোটা উদ্দেশ্যে ছিল তাদের। যা এরপরই ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পায়।
বলা হয় কার্লোস পুয়োল, জাভি হার্নান্দেজ, লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকে, কোচ পেপ গার্দিওলার নামে অপপ্রচার চালাতে অর্থ ব্যয় করেছেন বার্তেমেও। এমনকি লিওনেল মেসির সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয় বার্সা প্রেসিডেন্টের। এরপরই ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। বার্তোমেও সরে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়!