কানের পর্দা জোড়া লাগানোর ঔষধ

কানের পর্দা জোড়া লাগানোর ঔষধ: প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন । আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে কানের পর্দা জোড়া লাগানোর ঔষধ আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, তাই মনোযোগ দিয়ে পুরো লেখাটি পড়ুন!
এক নজরে দেখে নিন
কানের পর্দা জোড়া লাগানোর ঔষধ
কান (Ear) এমন এক বিশেষ ইন্দ্রিয় যা একাধারে শ্রবণ ও দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ-এ অংশগ্রহণ করে। মানুষের মাথার দুপাশে ও চোখের পিছনে করোটির শ্রুতিকোটরে দুটি কান অবস্থান করে। সাধারণত, আপনার কানের পর্দা ফেটে গেছে কিনা তা দেখতে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ রোগ নির্ণয় করবেন। সাধারণত, তিনি একটি আলোকিত যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন যা একটি অটোস্কোপ বা একটি মাইক্রোস্কোপ হতে পারে। তিনি আপনার উপসর্গের কারণ নির্ণয় বা শ্রবণশক্তি হ্রাসের উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য অতিরিক্ত পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারেন।
কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার লক্ষণ
একটি ফেটে যাওয়া কানের পর্দার একাধিক উপসর্গ থাকতে পারে যেমন:
- কান থেকে শ্লেষ্মা, পুঁজ-ভরা বা রক্তাক্ত নিষ্কাশন
- কানের ব্যথা যা দ্রুত কমতে পারে
- শ্রবণ ক্ষমতার হ্রাস
- আপনার কানে বাজছে অর্থাৎ টিনিটাস
- ঘূর্ণায়মান সংবেদন অর্থাৎ ভার্টিগো
- ভার্টিগোর ফলে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
আরও পড়ুন: উকুন দূর করার উপায় ঔষধ
কানের পর্দা ফাটলে কি সমস্যা হয়
- রোগী কানে কম শুনতে পারেন- এটা সামান্য থেকে মারাত্মক পর্যন্ত হতে পারে। কান পাকার জন্য কান দিয়ে পুঁজ-পানি বের হয়। অনেক সময় মাথা ঘুরায়। মাথার ভেতরে ভোঁ ভোঁ শব্দ হয়। অনেক সময় কানে ব্যথা হতে পারে। এ কান দিয়ে পুঁজ-পানি পড়াটা প্রাথমিক পর্যায়ে মাঝে মাঝে হয়; কিন্তু ক্রমাগত কান পাকতে থাকলে অনেক সময় দেখা যায়, কান কোনো সময় শুকাতেই চায় না। অনেক সময় আবার সর্দি-কাশি লাগলেই কান দিয়ে পানি বের হতে থাকে।
- সাধারণত কানের পর্দা ফাটা দুই রকমের হয়ে থাকে- একটিতে পর্দার সামনের অংশ ফুটা থাকে অন্যটিতে কানের পর্দার পেছনের অংশটিতে ফুটা থাকে। পেছনের ফুটা সাধারণত মারাত্মক- চিকিৎসা অতি শিগগিরই শুরু করা দরকার। অনেক সময় অনেক দিন ধরে কানের পর্দা ফুটা থাকার ফলে এবং ঘনঘন কানের ইনফেকশন থাকার ফলে পর্দাটা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কানের পর্দা ফেটে গেলে করণীয়
- এই রোগীর প্রধান চিকিৎসা হল কানের ভেতর যাতে কিছু না ঢুকে এটা নিশ্চিত করা। এভাবে কানের পর্দাকে কিছু সময় দিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদি কানের পর্দায় ফুটা ছোট হয় তা এমনিতেই সেরে যায়। এ অবস্থায় কানের পর্দা কেমন থাকছে, সেজন্য সপ্তাহে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
- কানে কখনও ইনফেকশন হয়ে গেলে আমার অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেই, অনেকে আবার কানের পর্দা ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য নাক চাপ দিয়ে মুখ ফুলিয়ে কান দিয়ে বাতাস ছাড়ার চেষ্টা করে, এতে কোনো উপকার তো হয়ই না বরং দেখা গেছে, কানের পর্দা জোড়া লেগে গেলে নতুন পর্দা এ কারণে আবার ফেটে যায়। যদি আমরা নিয়মমাফিক চলি তাহলে ইনফেকশন ঠেকাতে পারি।
- ছোটখাটো পর্দার ছিদ্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট হয়ে যায়। যাদের নাক, সাইনাস, টনসিল ও এডেনয়েডের প্রদাহের কারণে কানের পর্দা দুর্বল হয়ে গেছে, কানের পর্দা ফেটে গেছে, তাদের কানের পর্দার সমস্যার সঙ্গে এসব সমস্যার চিকিৎসা করা জরুরি। এক মাসের মধ্যে যদি এ সমস্যার সমাধান না হয় তবে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
- একে টিমপেনোপ্লাস্টি অপারেশন বলা হয় এবং এটা একটা মাইক্রোসার্জারি যা মাইক্রোসকোপের সাহায্যে অতি সূক্ষ্মভাবে করা হয়ে থাকে। কানের ভেতরে যত ইনফেকশন হবে এবং ইনফেকশনের জন্য কানের পর্দায় যে পরিবর্তন হবে তাতে অপারেশন জটিল হতে পারে এবং কানের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
আপনি যদি এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার একটি মন্তব্য আমাদের অনেক উৎসাহ দেয়। আশা করি আপনারা আজকের পোস্ট: কানের পর্দা জোড়া লাগানোর ঔষধ পড়ে পুরো বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করার জন্য!